সিনিয়র প্রতিবেদক::

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট এলাকায় গ্রামের মানুষগুলো কারণ ছাড়াই ঘরের বাইরে বের হয়ে বিভিন্ন স্থানে জটলা পাকিয়ে বসে আছেন। হাট-বাজারে গাদাগাদি করে কেনাকাটায় ব্যস্ত রয়েছে শত শত মানুষ। এসব হাট বা বাজারে মানুষগুলোর বেশিরভাগ মাস্কও ব্যবহার করছেন না।

এ নিয়ে উপজেলায় ৭১ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। তার মধ্যে ২৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। ১ জন জগন্নাথপুর হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রয়েছেন। নতুন ৬ জন সহ মোট ৪৪ জন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স সুত্রে জানা যায়, সোমবার (২৩জুন) সিলেট শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাব থেকে প্রকাশিত কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্টে জগন্নাথপুর উপজেলায় আরও ৬ জন ব্যাক্তি পজেটিভ সনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্ত সবাই পৌরসভার বাসিন্দা।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা.মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টীম প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরকে হোম আইসোলেশনে রাখেন এবং চিকিৎসা সহ পরবর্তী স্বাস্থ্যবার্তা প্রদান করেন। এছাড়াও আক্রান্ত পরিবারের সবাইকে শতভাগ হোম কোয়ারান্টাইনে থাকা নিশ্চিতকরন সহ আশেপাশের বাড়িগুলোকে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থা অবলম্বন করার জন্য কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

এ সময় জগন্নাথপুর পৌরসভার সন্মানিত ওয়ার্ড কাউন্সিলার মো. দেলোয়ার হোসাইন, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক রুমি রায়, স্বাস্থ্য সহকারী মো. রায়হান মিয়া, সুমন্ত দেবনাথ ও মো. আব্দুল মুকিত, দাস, সাংবাদিক অমিত দেব, সমাজকর্মী মো. শাহজাহান উদ্দিন রুহেল এবং এম্বুলেন্স চালক প্রাণেশ চন্দ্র দাস সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মধু সুধন ধর জানান, জগন্নাথপুর উপজেলায় এখন পর্যন্ত সর্বমোট ৭১ জন ব্যক্তি ‘কোভিড-১৯’ পজিটিভ হয়েছেন। এরমধ্যে নতুন ঘোষিত ১০ জন সহ সর্বমোট ২৭ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছেন, ১ জন জগন্নাথপুর হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে এবং ৪৪ জন নিজেদের বাড়িতে হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসাধীন আছেন।