সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেক কাটা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১টায় জেলা পরিষদের মিলনায়তনে কেক কাটা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। কেক কাটা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ নুরুল হুদা মুকুট।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দা শমশাদ বেগম,বিশিষ্ঠ আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আমজদ,জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি এড. মোঃ রইছ উদ্দিন,আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. মোঃ আব্দুল করিম,আওয়ামীলীগ নেতা এড. পীর মতিউর রহমান,সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী আবুল কালাম,জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সীতেশ তালুকদার মঞ্জু,শ্রম বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী,সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও জেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য নুরুল ইসলাম বজলু,সিনিয়র সদস্য সবুজ কান্তি দাস,সদর যুবলীগের সভাপতি এহসান আহমদ উজ্জল,সদর কৃষকলীগের যুগ্ম সম্পাদক যথীন্দ্র মোহন তালুকদার,জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি লিখন আহমেদ,সহ সহসভাপতি কাউসার আহমদ,সাংগঠনিক সম্পাদক জুনায়েদ আহমদ,জেলা ছাত্রলীগ নেতা সাগর আহমদ ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী মিলটন পুরকায়স্থ প্রমুখ।
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ নুরুল হুদা মুকুট বলেছেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মত নেতার জন্ম না হলে পাকিস্থানী স্বৈরশাসকদের কবল থেকে আমরা আজও মুক্ত হয়ে স্বাধীন ভূখন্ডে স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বাঙ্গালী জাতি বিশ্বের বুকে পরিচিত হতে পারতাম না। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী ও কিছু বিপদগামী সেনা অফিসারের লোভ লালসার কারণে ১৫ই আগষ্ট জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার মধ্যে দিয়ে এই দেশের উন্নয়ন ও অগ্রাযাত্রাকে রুখে দেয়ার চিন্তার অংশ হিসেবেই তৎকালীন সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান বন্দুকের নলে ক্ষমত্য়া এসে ইনডেমনিটি নামে একটি কালো আইন সংসদে পাশ করেন জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার রুদ্ধ করে বিচার কার্য পরিচালনা না করেই বরং খুনীদের বিদেশী বিভিন্ন দূতবাসে চাকুরী দিয়ে পুরস্কৃত করেন। তিনি আরো বলেন এই সামরিক শাসক দীর্ঘ ২১টি বছর জাতির পিতার কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনাকে দেশে আসতে না দিয়ে দেশের উন্নয়নের পরিবর্তে তার স্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় অধিষ্টিত হয়ে তাদের ছেলেরা কালো টাকাকে সাদা করে বিদেশ হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে বিত্তশালী বনেছেন। তিনি আরো বলেন শত বাধা বিপত্তি অতিক্রম করেন ১৯৮২ সালে জনগের শক্তি নিয়ে আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মাঠিতে পা রাখতে গেলেও তৎকালীন সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান তাকে দেশের ভেতরে ঢুকতে দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি দেশে আসার পর ও তাদের স্মৃতি বিজড়িত ধানমন্ডির সেই ৩২নং বাড়িতে ঢুকতে দেয়া হয়নি। বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামীলীগের জনসভায় শেখ হাসিনাকে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে শক্তিশালী গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। তিনি ঐদিনের বিভিষিকাময় ঘটনায় তিনি প্রাণে বেচে গেলেও মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪জন নেতাকর্মীকে জীবন দিতে হয়েছিল। তিনি বলেন এছাড়াও শেখ হাসিনার উপর চট্রগ্রামের লালদিঘী ময়দানে গ্রেনেড হামলাসহ অসংখ্যবার হামলা চালানো হয়েছিল। আজকের প্রধানমন্ত্রী জনগনের প্রত্যক্ষ ভোটে রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় এসে দীর্ঘ তিনযুগের ও বেশী সময়ে দেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছেন। আজ বিশ^ নেতারা প্রধানমন্ত্রীর এই মেধা ও প্রজ্ঞার প্রসংশা করে তার উন্নয়ন কর্মকান্ডকে অনুসরন ও অনুকরণ করছেন। প্রধানমন্ত্রী জন্মদিনে মুকুট আরো বলেন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বেচেঁ থাকলে বাংলাদেশ বিশ্বে একদিন বীরের জাতি হিসেবে মাথা উচুঁ করে দাড়াঁবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পরিশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ূ ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া পরিচালনা করেন দোজা মার্কেট মসজিদের ইমাম আতাউর রহমান লস্কর।
Leave a Reply