তাহিরপুর প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা লাউড়েরগড় সীমান্তের শাহআরেফিন মোকাম এলাকায় বিজিবির সদস্যদের হামলা সুমন মিয়া(৯)নামে এক শিশু গুরুত্ব আহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার লোকজন মিছিল দিলে বিজিবির ন,রাউন্ড ফাকা গুলি,১২টি দোকানপাট ভাংচুর করে। এতে করে ১৫জন আহত হয়েছে বলে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী।
গুরুত্ব আহত শিশু উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের মনাইপাড়(উত্তর মুকশেদপুর)গ্রামের বাচ্ছু মিয়ার ছেলে। আর আহতরা হলে,আল আমিন(৩০),আব্দুল জলিল,তার বৌ হনুফা বেগম,শফিকুল ও তার বৌ,আফাজ উদ্দিন ১৫জন আহত হয়েছে। অন্যান্য আহতদের নাম পাওয়া যায় নি। এঘটনায় এলাকায় বিজিবি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান,বুধবার সন্ধ্যার পুর্বে উপজেলা বাদাঘাট ইউনিয়নের লাউড়েরগড় সীমান্তের শাহ আরেফিন মোকাম এলাকায় সবার সাথে সিন্নী খেতে আসে সুমন। সিন্নী খেয়ে শাহ আরেফিন মোকাম এলাকার মোড়(লাউড়েরগড় বাজারে পথে)হয়ে যাদুকাটা নদীতে বাংলা কয়লা সংগ্রহের কাজে থাকা মা,বাবার খোঁজ করে আসার সময় বিজিবির এফএস নাইম লাউড়েরগড় বিজিবির র্ফোসসহ শ্রমিকদের সবাইকে দাওয়া করে। এসময় সবাই দৌড়ে পালিয়ে গেলে এসময় কাউতে ধরতে না পেরে সুমনকে কাছে পেয়ে দু হাতে মাথার উপর তুলে আড়ার মেড়ে ফেলে দেয় এফএস নাইম। এতে সুমন অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন তাকে ঘন্টা খানেক চেষ্টা চালিয়ে জ্ঞান ফিরাতে না পেরে মৃত ভেবে বিজিবি উপর চড়াও হলে এফএস নাইমসহ সবাই ক্যাম্পে ফিরে যায়। এরপর স্থানীয় লোকজন বিজিবির বিরোদ্ধে মিছিল শুরু করলে লাউড়েরগড় ক্যাম্পের বিজির সদস্যরা শাহআরেফিন মোকাম এলাকায় মিছিলে বিজিবি তাদের রক্ষ্য করে ন,রাউন্ড ফাকা গুলি করে ছত্রবংঙ্গ করে মাজার এলাকায় ১২টি দোকানপাট ভাংচুর করে। এতে করে ১৫জন আহত হয়েছে বলে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী। গুরুত্ব আহতদের সুনামগঞ্জ ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
এই বিষয়ে ২৮ বিজিবি সুনামগঞ্জ অধিনায়ক মাকসুদুল আলম জানান,ঘটনাটি যে ভাবে প্রচার হচ্ছে তা না। যাদুকাটা নদীতে শ্রমিকদের দাওয়া করলে সাথে থাকা শিশু সুমন বাশেঁর সাথে আঘাত পেলে অজ্ঞান হয়ে পরে। তখন মানুষ মনে করে সে নিহত হয়েছে। পরে স্থানীয় লোকজন বিজিরি উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় ৬-৭রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে।
Leave a Reply