মোঃ মুকিম উদ্দিন জগন্নাথপুর প্রতিনিধি ঃ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলাধীন “সফাত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় জগদীশপুর” যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয় মহান বিজয় দিবস। এতে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সব্বির আহমদ চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক বিজন বিহারী দাস, সহকারী শিক্ষক কিশলয় মূখার্জি, মিহির কান্ত দাস, মোঃ এরফান আলী, মোঃ রিয়াজ উদ্দিন, মাহাবুব আলম টিটুপ। সভায় বক্তারা বলেন ১৬ ই ডিসেম্ভর বাঙ্গালী জাতি তথা বাংলাদেশের বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে আমাদের দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছিল। তাই আমাদের জাতীয় জীবনে বিজয় দিবস খুবই মর্যাদার অধিকারী। ১৯৭১ সালের নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটে ১৬ ই ডিসেম্ভর। অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে বাঙ্গালী জাতী পায় স্বাধীনতা। অতীতের গৌরব বেদনার কাহিনী জড়িত হয়ে আছে বিজয় দিবসের পটভূমি হিসেবে। পাকিস্তানি শাসক নিরীহ বাঙ্গালিদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল। ২৫ শে মার্চ দিবাগত রাতে পাকিস্তানি সৈন্য লেলিয়ে দিয়েছিল নিরীহ বাঙ্গালীদের ওপর। বাঙ্গালীরা তখন গ্রামে গঞ্জে সব জায়গায় পাকিস্তানীদের বিরোদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে। ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিক, চাকুরিজীবী সব শ্রেনীর মানুষ জীবন দিয়ে যুদ্ধ করে এই বিজয় চিনিয়ে আনে। আজ আমরা তাদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করি। আমাদের জাতীয় জীবনে ১৬ ই ডিসেম্ভরের তাৎপর্য অপরিসীম। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের আজকের স্বাধীনতা। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা স্বাধীন দেশে বাস করছি। বীর জাতি হিসেবে আজ আমরা বিশ্বে পরিচিত। বিজয় দিবস আমাদেরকে এনে দিয়েছে এক নতুন জীবন। এখান থেকে শুরু হয় বাঙ্গালীর নতুন ইতিহাস। এই ইতিহাস গৌরবময় জাতির। এই দিন প্রতিশোধের দিন অন্যায় অত্যাচার আর শোষনের দিন এবং এই দিনটি থেকে আমরা জীবনকে গৌরবান্বিত করে গড়ে তোলার শপথ গ্রহন করতে পারি।
Leave a Reply