জগন্নাথপুর অফিস: জগন্নাথপুর উপজেলার ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধ পিআইসি কমিটির তালিকা নিয়ে চলছে লুকোচুরি। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের খামখেয়ালিপনায় ক্ষোব্দ কৃষকেরা। এই নিয়ে কমিটি গঠনের শুরু থেকে নানা জল্পনা কল্পনা থাকলেও অবশেষে দূরনীতির মাধ্যমে বেড়িবাঁধের বরাদ্দকৃত অর্থ ভাগভাটোয়ারা করার পায়তারা চলছে বলে জানাগেছে। সুনামগঞ্জ জেলার হাওরবেষ্টিত জগন্নাথপুর উপজেলার কৃষকদের বোর ফসল রক্ষায় বেড়িবাধঁ নির্মানে এবার সরকার ৩৭ টি পিআইসি কমিটির মাধ্যমে বরাদ্দ প্রদান করে থাকেন। শুরুতে কমিটি গঠন ও বরাদ্দকৃত অর্থ জগন্নাথপুর উপজেলার ওয়েবসাইডে পূর্নাঙ্গ তথ্য প্রকাশ না করে লুকোচুরি করতে থাকে। এই নিয়ে কৃষকদের মধ্যে চাপাক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখাদিলে স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীরা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট বরাদ্দকৃত অর্থ ও পিআইসি কমিটির তথ্য জানতে চাইলে উপজেলার ওয়েবসাইডে এর তথ্য রয়েছে বলে এড়িয়ে যান।এব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসান গাজী বলেন আমি এখন মাঠে আছি। উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফয়সল চৌধুরীর নিকট বিস্তারিত তথ্য আছে।এই বিষয় ফয়সল চৌধুরীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বেড়িবাঁধের সকল তথ্য উপজেলার ওয়েবসাইডে রয়েছে বলে এই নিয়ে আর কোন কথা বলতে রাজি হননি। জগন্নাথপুর উপজেলার কৃষক ময়না মিয়া, আল আমিন , সিপন মিয়া, সামছুল হক ,মাসুক মিয়াসহ অনেকেই জানান অফিস সহকারী ফয়সল চৌধুরীর বাড়ী জগন্নাথপুরের পাশ্ববর্তী দক্ষিন সুনামগঞ্জ উপজেলায় হওয়ার কারনে তিনি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দাপটের সাথে চালিয়ে যাচ্ছেন নানা অনিয়ম দুনীতি। তিনি অন্যত্র বদলী হলেও কিছু দিনের মাথায় আবার জগন্নাথপুর উপজেলায় ফিরে আসেন। ইউ এন ও অফিসের বিতর্কিত অফিস সহকারী বার বার বদলী হলেও অদৃশ্য খুঁটির জোরে বহাল থাকায় জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মেহেদী হাসানের মুঠোফোনে যোগা-যোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
Leave a Reply