রিয়াজ রহমান – জগন্নাথপুর- রশিদপুর সিলেট সড়কের চলছে সংস্কার কাজ । রাস্তায় উড়ছে ধূলা-বালু। কড়া রোদে ঝাপসা দেখা যাচ্ছে পথ। ধূলার যন্ত্রনায় অতিষ্ট সবাই। রাস্তায় চলাফেরা করা দায়। এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে জগন্নাথপুর – রশিদপুর সিলেট সড়কের বিশ্বনাথ পর্যন্ত । এই সড়কের পাশের বাড়ী ঘরে যারা বসবাস করছে ও এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছে তাদের মধ্যে অনেকেই ধূলাবালির কারনে রোগাক্রান্ত হচ্ছেন।ধূলার কাছে অসহায় হয়ে উঠেছেন সাধারণ পথচারী। ভোগান্তির পাশা- পাশি পালা দিয়ে বাড়ছে রোগ-বালাই। পথচারী ও যানবাহনের যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে দূর্ভোগ। শিশু-বৃদ্ধ ও অসুস্থরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন চরমভাবে। পানি ছিটকানোর অভাবে ধূলার রাম রাজত্ব চলছে এই সড়কে বলছেন পথচারী ও যানবাহনের যাত্রীরা। খোঁড়াখুঁড়ি, ভবন নির্মাণ, ভবন ভাঙ্গা, রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কারের কারণে বিরক্তিকর ধূলার এ রাম রাজত্ব বলে জানাচ্ছেন ভূক্তভোগীরা।এছাড়া সড়ক দিয়ে নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনে নিয়ম না মানায় ও এ অবস্থার সৃষ্টি বলে মন্তব্য সংশিষ্টদের। প্রচুর ধূলা-বালি জনস্বাস্থ্যের উপর ফেলছে ক্ষতিকর প্রভাব। ধূলাবালিযুক্ত রাস্তা দিয়ে হাটলেই পরিধেয় কাপড়-চোপড় ও মালামাল ধূলায় ভরে যায়। যা পরিস্কার করতে সময় ও অর্থ নষ্ট হয় সংশিষ্টদের। আবার এ কাজে অপচয় হয় পানি ও বিদ্যুতের। অপরিকল্পিত খোঁড়াখুড়ি, সংস্কার কাজ ও উম্মুক্তভাবে নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনের কারণে চতুর্দিকে ধূলার দাপট। এছাড়াও মাটি পরিবহনের কাজে ব্যবহারিত বিভিন্ন গাড়ীর কারনে অস্বাভাবিক ধূলার সৃষ্টি হয়। যা সংশিষ্ট সড়কের আশে-পাশে অবস্থিত নানা শিক্ষা, সামাজিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ও সংশিষ্টদের যাতায়াত ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় চরম বেগাত ঘটায়।
চিকিৎসকদের মতে, এ ধূলাবালিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। ধূলা দূষণে চুলকানি, শ^াসকষ্ট, ফুঁসফুসে ক্যান্সার, হাঁপানী, যক্ষ্াসহ নানা জটিল ও কঠিন রোগের সৃষ্টি হতে পারে। জরুরী ভিত্তিতে এই সড়কে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট দাবী জানিয়েছেন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীরা।
Leave a Reply