সমিপেষু , জনাব ।
আমি আপনার নির্বাচিত এলাকা জগন্নাথপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহি জনবহুল বৃত্তর গ্রাম চিলাউড়া গ্রামের বড়বাড়ী নিবাসী ( বর্তমানে ইউকের সেইন্ট আলবান্স “St Albans “ এ বসবাসরত মোহাম্মদ গুলজার হোসাইন ( গুলফর মিয়া ) । মহোদয় আপনার নির্বাচনি এলাকার একটি বহু পুরাতন স্হানীয় লকেলবর্ডের সড়ক ( রাস্তা ) যে রাস্তাটি জগন্নাথপুর পৌর সীমানার যাত্রাপাশা গ্রামের মোড় থেকে সোজা রওয়াকান্দি হয়ে চিলাউড়া গ্রামের মাঝ পাড়ার ভিতর দিয়ে গিয়ে চিলাউড়া বাজার হয়ে সমধল নদী পাড় হয়ে বেতাঊকা গ্রাম পর্যন্ত যাওয়ার কথাছিল ! আপনি যদি “ গোগল “ এ জগন্নাথপুরের পশ্চিমের রাস্তার খোজ করেন তখন দেখতে পাবেন যে রাস্তাটি রওয়াবিলের পশ্চিম পাড় দিয়ে না গিয়ে অর্থাৎ কবিরপুর/হলদিপুর হয়ে না গিয়ে রাস্তাটি রওয়াবিলের পূর্বপাড় হয়ে গিয়াছে । রাস্তাটির অর্দ্ধেক পড়েছে জগন্নাথপুর পৌর এলাকার মধ্যে আর বাকি অর্দ্ধেক পড়েছে চিলাউড়া/ হলদিপুর ইউপির এলাকায় । পৌর এলাকার শেষ প্রান্হের অংশটি গুরুত্ব কম হওয়াতে পৌর কর্তৃপক্ষ এদিকে নজর দিতেছেন খুবই কম । যদি পৌর কর্তৃপক্ষ একটু গুরুত্ব সহকারে তাঁদের অংশটুকু করে নেন তবে বাকি অংশ ইউপি কর্তৃপক্ষ অতি সহজেই করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস ।
বাংলাদেশের দুই-দুইবারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রয়াত আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ আজাদ দুই-দুইবার ঘোষণা দিয়েছিলেন যে যাত্রাপাশা গ্রামের মোড় থেকে রওয়াকান্দি সড়ক হবেই । বর্তমানে মহাই হাওর প্রায় পলিমাটির দ্বারা ভরাট হয়ে গেছে তাই হওয়রের ঢেউ এ সড়ক ভেঙ্গে নেওয়া সহজ নয় । আর প্রায় দেড় কিলমিটীর জায়গা প্রটেকশন ওয়াল দিয়ে রক্ষা করা অসম্ভব নয় ! আমাদের পরিকল্পনা মন্ত্রীমহোদয় যখন সুনামগন্জ থেকে উড়াল সড়ক করে নেত্রকোনা জেলার সাথে সংযোগ স্হাপনে ইচ্ছুক তখন এই দেড় কিলমিটীর জায়গার রাস্তাটি করে কেন তাঁর পূর্বশুরি জনাব সামাদ আজাদের প্রস্তাবিত রাস্তাটি সম্পুর্ণ করে প্রয়াত জনাব সামাদ আজাদের আশার প্রতিফলন ঘটাতে পারবেনা ?
আমি গেল ৭ই নভেম্বর আমাদের ইউপির চেয়ারম্যান জনাব আরশ মিয়ার সাথে ফোন আলাপ করেছি, উনি বলেছেন ঐ রওয়াকান্দি সড়কের জন্য রওয়াবিলের কারাতে একটি ব্রিজের ব্যবস্হা করেছেন ও জনাব চেয়রম্যান সাহেব তাঁর ঐক্যান্তিক চেষ্টা রয়েছে বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন । অবশেষে জনাব মন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টিআর্কষন করে বলছি অনুগ্রহ করে পুরানো লকেলবর্ডের সড়কটি বাস্তাবায়ন করে চিলাউড়া গ্রাম ও অত্র এলাকার কয়েক হাজার গণমানুষের দাবীটি পুর্ণ করতে মর্জি হয় ।
“ বিনীত “
মোহাম্মদ গুলজার হোসাইন ( গুলফর মিয়া )-সেইন্ট আলবান্স-ইউকে ।
Leave a Reply