জগন্নাথপুর প্রতিনিধি: জগন্নাথপুরে লকডাউনে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে দেখা দিয়েছে মিনি পরিবহনের ভাড়া বাণিজ্য। এ নিয়ে নির্বিকার প্রশাসন । অটোরিকশা ও টমটম চালকদের বেপরোয়া আচরণ এবং দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ ভাড়ায় অতিষ্ঠ যাত্রীরা। মহামারি করোনায় রীতিমতো নৈরাজ্য শুরু হয়েছে। নিয়ন্ত্রণহীন চলছে যাত্রী হয়রানি। প্রতিনিয়ত এসব চালকের তুচ্ছতাচ্ছিল্যে ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিবহন চালকদের দাবি নিরুপায় হয়ে তাদের অতিরিক্ত ভাড়া নিতে হচ্ছে। সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গণপরিবহন চালিয়ে এবং অতিরিক্ত যাত্রী নিয়েও তিনগুণ ভাড়া আদায় করছে টমটম ও অটোরিকশা চালকেরা।
এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গত ১লা জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। নির্দেশনায় বলা হয়, এ সময় সকল প্রকার গনপরিবহন চালাচল বন্ধ থাকবে। সরকারের নির্দেশনা মেনে বাসসহ অন্যান্য যানবাহন না চললেও সিএনজি ও টমটম চলছে জগন্নাথপুরের সর্বত্র। এবারের লকডাউনে পরিবহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা হলেও বাস্তবে তা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। উপজেলা সদর , হাসপাতাল পয়েন্ট, ভবের বাজার, সৈয়দপুর, কলকলিয়া বাজার, শিবগঞ্জ, রানীগঞ্জ, চিলাউড়াবাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন সড়কে বেপরোয়াভাবে চলছে টমটম ও অটোরিকশা । সরকারি নির্দেশনা না মেনে রীতিমতো যাত্রীদের জিম্মি করেই আদায় হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। এ বিষয়ে দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক জানান, দিনের বেলা আমরা টহল দিচ্ছি এবং সিএনজি ও টমটম আটক করে মামলাও দিচ্ছি। তবে রাতের বেলা লুকিয়ে তারা গাড়ি চালাচ্ছে এবং অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছে। ওদিকে, টমটম ও অটোরিকশা চালকের অভিযোগ লকডাউনে গাড়ী চালানোর কারনে জরিমানা দিতে হয় তাই অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে।
Leave a Reply