নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের এক মসজিদের ইমাম মোবাইল ফোনে প্রেম প্রেম খেলা খেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারনা করেছে। বর্তমানে ওই ইমাম আলী আমজদ প্রবাসী প্রেমিকার পর্ণো ছবি বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ করার হুমকী দিয়ে আরও ৫ লাখ টাকা দাবী করেছে। অন্যতায় ওই পর্ণো ছবি গুলো ভাইরাল করবে বলেও হুমকী দিয়ে আসছে। এতে ওই প্রবাসী প্রেমিকা নারীর জীবন বিপন্ন করে তোলেছে ইমাম আলী আমজদ।
সুত্রে জানাযায়, বাক্ষনবাড়িয়ার মেয়ে নাজমা বেগম দীর্ঘদিন ধরে জর্দা প্রবাসে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে আসছেন। সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার থানার রহিমের পাড়া এলাকার জালাল উদ্দিন ও জমিরুন নেছার ছেলে মাওঃ আলী আমজদ বি-বাড়িয়া জেলায় একটি মসজিদে ইমামতি করার সুযোগে জর্দান প্রবাসী নাজমা বেগমের মোবাইল নম্বার সংগ্রহ করেন। এক পর্যায়ে ওই ইমাম তার দেশের বাড়ি সুনামগঞ্জে চলে আসেন। এই সুযোগে তিনি নাজমা বেগমের নম্বারে ফোনে কথা বলতেন। দীর্ঘদিন ফোনালাপের ফলে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। নাজমা তাকে জর্দান নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু সে দেশের ভিসা বন্ধ থাকায় তাকে নেয়া সম্ভব হয়নি, নাজমাও দেশে আসতে পারেনি। এমনিভাবে কেটে গেলেও ৪টি বছর। ওই ৪ বছরে ইমাম আলী আমজদ স্বামী-স্ত্রীর মতো নাজমা বেগমের সাথে ভিডিও কলে খোলা মেলা কথা বলতেন। ইতিমধ্যে জর্দান প্রবাসী নাজমা বেগম’র কাছ থেকে নানা অজুহাতে কয়েক দফায় ব্যাংক একাউন্ট ও বিকাশের মাধ্যমে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা ধার আনেন ইমাম। প্রবাসী নাজমা সরল মনে মসজিদের ইমাম দেখে বিশ^াস করে এবং তাকে বিয়ে করবে এই আশ^াসে টাকা গুলো ধার দেয়। সম্প্রতি ওই ইমাম আলী আমজদ অন্যত্র বিয়ে করার খবর পেয়ে নাজমা হতাশায় পড়েন। পরে তার দেয়া টাকা ফেরৎ চাইলে ইমাম আলী আমজদ উল্টো প্রবাসী নারীকে ৫ লাখ টাকা দেয়ার জন্য হুমকী দেন। টাকা না দিলে তার কাছে থাকা মোবাইলে পর্লো ছবি ইন্টারনেটে ভাইরালসহ নাজমা বেগমের স্বজনদের কাছে প্রেরন করার হুমকী দেন। এতে নাজমা সায় না দিলে কয়েকজন আত্মীয় স্বজনদের নিকট ওই পর্ণো ছবি গুলো সরবরাহ করা হয়েছে। এ খবর পেয়ে ওই প্রবাসী নারী মানুষিকভাবে ভেঙ্গে পরেছেন। সে ওই ঘটনার ন্যায় বিচারসহ ইমাম আলী আমজদের নিকট থেকে পাওয়া টাকা উদ্ধারের জন্য আইনী প্রক্রিয়ায় যাবেন বলে এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন।
Leave a Reply