মোঃ মুকিম উদ্দিন স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ -জগন্নাথপুর- সিলেট মহাসড়ক এর সদরপুর ব্রীজ এর পশ্চিম পাড়ের এপ্রোচের এক পাশ ধ্বসে যাওয়ায় প্রায় ১০ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী সাধারন।
গতকাল রাত থেকে আজ ১২ ডিসেম্বর সকালে গিয়ে দেখা যায়, সুনামগঞ্জ জগন্নাথপুর – সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের সদরপুর ব্রীজ এর পশ্চিমাংশের সংযোগ মূখ ব্রীজের এ্যপ্রোচের দক্ষিণ পার্শ্ব অর্থাৎ সড়কের অংশ নদীগর্ভে ধ্বসে পড়ায় যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়। যার ফলে সুনামগঞ্জ থেকে জগন্নাথপুর বিভাগীয় শহর সিলেট রোডে গতকাল রাত থেকে আজ সকাল ৮ ঘটিকা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
জানাযায়, সংযোগ স্থাপনকারী এই ব্রীজের ধ্বসে না পড়া অংশ দিয়ে বিগত প্রায় এক মাস থেকে যাত্রীবাহী ছোট যানবাহন থেকে শুরু করে বাস- মিনিবাস, লরি, ট্রাক সহ পন্যবাহী সকল রকমের যানবাহন ঝুঁকির মধ্য দিয়ে চলাচল করছে। জীবন জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লাখ লাখ মানুষ প্রতিনিয়ত দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে এই সড়ক দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।যেকোনো মুহুর্তে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ দায়সারা ভাবে ব্রীজটির এ্যপ্রোচ এর ভাঙা অংশে বালিমাটি ভর্তি বস্তা দিয়ে প্রতিবন্ধকতা ও রাতে চলাচলকারী যানবাহনের সতর্কতার লক্ষে সিগন্যাল লাইট স্থাপন করলেও ব্রীজের এপ্রোচ এর ভাঙা অংশ সংস্কার এর কোনো উদ্যোগ নেয়নি। গতকাল রাতে যানবাহন চলাচল বন্দ হয়ে যাওয়ায় তরিগরি করে রাত থেকে স্টীলের শ্লাব দিয়ে বিকল্প ব্রীজ তৈরী করে যান চলাচলের সুবিধা করে দিলেও বিপদের আশংকা কাটেনি।
এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী বাস,ট্রাক, লেগুনা, সিএনজি
চালক সহ একাধিক চালক বলেন, এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত দিবারাত্রি প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে চলাচল করেন। এমনকি পন্যবাহী যানবাহন চলাচলতো আছেই। সদরপুর ব্রীজ এর পশ্চিমাংশের এ্যপ্রোচ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এই এ্যপ্রোচ এর একটি অংশ ইতিমধ্যে ধ্বসে পড়েছে। অবশিষ্ট অংশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে তাও যেকোনো মুহূর্তে ধ্বসে পড়ার আশংকা বিরাজমান। ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা। এনিয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লিখেও কোন ফলোদয় হয়নি। সড়ক বিভাগের গাফিলতির কারনে আজ এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছ।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ব্রীজটির এ্যাপ্রোচের অংশটি ইতিপূর্বে স্টিলের পিলার বসিয়ে মেরামত করা হয়েছে। কিন্তু কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার কারনে দেবে গেছে। এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছি। তবে গতকাল রাতে ব্রীজ দিয়ে যানচলাচল বন্ধ থাকার খবর পেয়ে আমরা সাথে সাথে ব্রীজে কাজ করে যানবাহন চলাচল করার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
Leave a Reply