স্টাফ রিপোর্টার ::
ঢাকা- বরগুনা নৌরুটের এমভি পূবালী লঞ্চে ঝালমুড়ি বিক্রি করায় আব্দুল জলিল (৬০) নামে এক বৃদ্ধকে মারধরের পর ধাক্কা পন্টুনে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম তারিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আব্দুল জলিল বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর এলাকার বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বরগুনা-ঢাকা নৌরুটে ঝালমুড়ি, চানাচুর, সিদ্ধডিমসহ খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করেন।
জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো ঝালমুড়ি, চানাচুর, ডিম নিয়ে লঞ্চে ওঠেন আব্দুল জলিল। লঞ্চ ছাড়ার পর তিনি যাত্রীদের কাছে ঝালমুড়ি বিক্রি করতে থাকেন। এ সময় কয়েকজন কেবিনবয় এসে তাকে বাধা দেয়। এ নিয়ে তর্ক হয় জলিলের সঙ্গে। এক পর্যায়ে লঞ্চের আরও কিছু স্টাফ এসে জলিলকে মারধর করতে করতে নিচতলায় নিয়ে আসেন।
লঞ্চ ফুলঝুড়ি ঘাটে ভিড়লে জলিলকে ধাক্কা দিয়ে পন্টুনে ফেলে দেন তারা। এ ঘটনার পর ঘাটের ইজারাদার ও দুজন পুলিশ সদস্যের সহায়তায় তিনি বরগুনা চলে আসেন। সন্ধ্যার পর জলিল বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
জলিল বলেন, ‘রাত ৮টার দিকে বরগুনা সদর থানায় গিয়া ডিউটি অফিসাররে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি ওসিরে জানাইতে কইছেন। পরে আমি ওসিরে সব ঘটনা জানাইছি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কাইন্দা কাইট্টা মাস্টাররে নালিশ দিছি। মাস্টার ওগো ডাইক্যা জিগাইছে, তহন ওরা সব অস্বীকার করছে।’
এমকে শিপিং লাইন্সের বরগুনা ঘাটের পরিদর্শক এনায়েত হোসেন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। বিস্তারিত জেনে লঞ্চ স্টাফরা অন্যায় করলে বিচার করা হবে।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেহেদি হাসান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। তদন্তসাপেক্ষে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply