আশাহীদ আলী আশা::
সাংবাদিকের হাতের কলমটা হচ্ছে সব চাইতে মূল্যবান একটি সম্পদ এই কলম দ্বরা জাতিকে বস্তু নিষ্ট সংবাদ উপহার দেয়া এবং সত্যতা তুলে ধরা হচ্ছে এর লক্ষমাত্রা। পাশাপাশি জাতির জন্য সৎ ও মহৎ কাজ করে যাওয়া। এটা কোন পুতুল খেলা নয়। একজন সাংবাদিক যদি সততার সাথে কাজ করে দেশ ও জাতির ভাল মন্দ, সুবিদা, অসুবিদা প্রকাশ করে জাতির উপকার করেন তাহলে সৃষ্টিকর্তার সবপ্রথম যে বস্তু সৃষ্টি করেছিলেন সেটার পবিত্রতা এবং মর্যদা রক্ষা করলেন। তাই আপনি শুধু সাংবাদিক নয় গোটা দেশ, জাতি ও বিশে^র অহংকার। যার কারনে একজন প্রকৃত সাংবাদিক মারা যাওয়ার পর তাকে রাষ্টিয়ভাবে পবিত্র শহীদ মিনারে সম্মাননা করা হয়। এই কর্ম যদি সঠিক কাজে লাগাতে পারেন তাহলে আপনার এবাদতের সম-পরিমান হবে যা শুধু দুনিয়াতে নয় পরকালেও আপনি সৃষ্টিকর্তার ছায়া পাবেন। সৃষ্টিকর্তা মহান উনি ক্ষমতা দিয়ে পরিক্ষা করেন, আবার তিনি ক্ষমতা নিতেও তেমন সময় লাগেনা, মান সম্মান দেওয়ার মালিক যিনি আবার নেওয়ার মালিকও তিনি তা আমাদের স্বরণ রেখে প্রতিটি স্থওে কাজ করা উচিত। আগে দেখা যেত যখন কোন ফেক্স, মোবাইল, ই-মেইল ছিলনা জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ পাটাতে হত ডাক মারপথে, এখনও ওই প্রবীন সাংবাদিকরা আছেন দেশের প্রতিটি জেলায়, আজ তারা এই ডিজিটাল যোগের সাংবাদিকদের দেখে তাদের মনে কি প্রশ্ন জাগতে পারে, হে এটা হয়ত যোগের ব্যাপার কিন্তু আমি মনে করি যোগের ব্যাপার হতে পারে তাদের বয়স বেড়ে যেতে পারে, কিন্তু তাদের কলমের বয়স বাড়েনি। আমি মনে করি নবীন লেখকদের এখনও প্রবীন সাংবাদিকদের কাছ থেকে অনেক জিনিস জানার এবং শেখার আছে। কিন্তু আমরা নবীন লেখকরা তাদের নিকট যাইনা আমরা নিজেকে মনে করি অনেক বড় সাংবাদিক তা কখনও হবেনা ‘জাতির চোখত অন্ধ নয় আমাদের প্রবীনরাই সাংবাদিক’ আর প্রবীনদের সম্মান এবং মর্য়াদা দিলে গর্ভ করে আপনি আমি বলতে পারব আমরা সাংবাদিক এবং প্রকৃত কলম সৈনিক। বর্তমান সমাজে সাংবাদিকের ব্যাপারটা ভিন্ন কারন একজন ফটো সাংবাদিক হতে হলে তাকে অবশ্যই ফটো ক্লাবের একজনসদস্য হতে হবে এবং সে যে ফটো তুলবে ওই ফটোর নিচে কি লেখা হবে তা সে নিজে বলতে হবে, তখন থাকে একজন ফটো সাংবাদিক উপাধী দেওয়া যেতে পারে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তা আর লাগে না কারন পত্রিকার যেমন অভাব নেই তদ্রুপ সাংবাদিকেরও কোন অভাব নেই তার কারন হল কিছু কিছু পত্রিকা দেখা গেছে যে সম্পাদকও লেখাপড়ার যোগ্যতা নেই, টাকা আছে কোন না কোন রাজনৈতিক ছায়ার আচলের সহযোগিতায় সম্পাদক আবার শুধু সম্পাদক নয়, সাংবাদিক নিয়োগ দিতে যে নীতিমালা আছে তাও উনার জানা নেই যাকে নিয়োগ দেবেন তার উপরে কোন প্রকার মামলা আছে কি না বা কতঠুকু শিক্ষিত তাও যানার দরকার নেই উনার, কারন তার একটা মোটরসাইকেল থাকলেই হবে, কারন মটরসাইকেল থাকলেই তিনি হবেন একজন সাংবাদিক পরিচয় পত্রধারী। পরে সাংবাদিক অথবা প্রেস লিখা একটি ষ্টিকার লাগাবেন উনার মোটরসাইকেলে যাতে প্রশাসনের আইন-শূংখলা বাহীনি কোন সমস্যা না করে, যাতে এ ঢিলে দু’পাথিঁ স্বীকার । এ সমস্ত কারনে দেশে বর্তমানে ভূযা সাংবাদিকের কোন অভাব নেই যার কারনে অনেক সময় প্রেস লেখা মটরসাইকেলদারীরা ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত থাকে বলে বিভিন্ন সময় পুলিশ প্রশাসন দাবী করে। তাই আসুন আমরা সৎ ও মহৎ এই পেশা সাংবাদিকতাকে পবিত্র রেখে মততার সাথে মহান পেশাকে কাজে লাগিয়ে গর্ব কওে বলতে পারি আমি একজন সংবাদিক, আমি একজন প্রকৃত কলম সৈনিক।
Leave a Reply