মোঃ মুকিম উদ্দিন স্টাফ রিপোর্টার:সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের ১০৫তম জন্ম বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
“কেন পিরিতি বারাইলেরে বন্ধু ছেড়ে যাইবা যদি, আমি কুল হারা কলংন্কিনী, আগে কি সুন্দর দিন কাঠাইতাম, কোন মেস্তোরী নাও বানাইল কেমন দেখা যায়, বসন্ত বাতাসে সইগো বসন্ত বাতাসে,গান গাই আমার মনরে বুঝাই মন থাকে পাগল পারা, আর কিছু চায় না মনে গান ছারা” এই ছিল তাঁর জীবন দর্শন। গানের মাধ্যমেই তিনি সমাজের অসংগতি, প্রকৃতি বন্দনা, ভালবাসা,বিরহ,বিচ্ছেদ ও পরম গুরুর প্রকাশ ও আরাধনা করেছেন। হাহাকার করেছেন সমাজ ও জীবনের ক্ষয়িষ্ণু পরিবর্তনের পরবর্তীত প্রেক্ষিতে। কালজয়ী এই বাউল সম্রাট
১৯১৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারী সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কালনী নদীর তীরে অবস্থিত উজান ধন গ্রামের এক হতদরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম ইব্রাহিম আলী ও মাতার নাম নাইওরজান বিবি। তিনি ২০০৯ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর ৯৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
অতি দারিদ্রতা ও প্রচন্ড সামাজিক প্রতিকূলতা অতিক্রম করে কালের পরিক্রমায় তিনি হয়ে উঠেছেন বাউল সম্রাট। বাউল গানকে তিনি নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। তিনি একাধারে শিল্পী,গীতিকার, সুরকার ও সংগীত শিক্ষক। তাঁর রচিত গানের সংখ্যা ১৬ শতাধিক। বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমকে নিয়ে প্রথম ছোট আংগিকে একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন নন্দিত সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ। তবে শাকুর মজিদ নির্মিত ‘ভাটির পুরুষ’ প্রামাণ্যচিত্রটি একটি অনবদ্য কাজ।
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকাল থেকে বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের নিজ গ্রাম উজান ধলের বাড়িতে শাহ আব্দুল করিম পরিষদের আয়োজনে তার জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বাউল গানের আয়োজন করা হয়। শাহ আব্দুল করিম পরিষদের সভাপতি বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম এর ছেলে শাহ নুর জালালের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন,বাউল রমেশ ঠাকুর,বাউল আব্দুর রহমান, বাউল ফয়সল, বাউল লেচু সরকার ও বাউল শফিকুন্নুরসহ অনেক শিল্পীবৃন্দ।
Leave a Reply