গোলজার হোসেন যুক্তরাজ্য::
গেল ১৭-ই ফেব্রোয়ারী ২০২২ তারিখে নারিকেলতলা গ্রামের সৌদী প্রবাসী ছুরুক মিয়ার তিন সন্তানের জননী শাহনাজ পারভিন জ্যোৎস্না যিনি জগন্নাথপুর পৌরসভার মাহিমা রেস্টুরেন্টের পিছনে নিজ বসা বাড়ী থেকে পৌর এলাকার মির্জা ব্যারিষ্টার আব্দুল মতিন মার্কেটের অভি মিডিকেল হল ফার্মেসি থেকে ঔষধ আনতে গিয়ে আর বাসায় ফিরেননি । কাস্টমার সার্ভ করার কথা বলে-বলে সময় ক্ষ্যাপন করে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলে জ্যোৎস্নাকে শারিরীক চেকআপের জন্য ঔষধ সেবন করানো হয়, সেই সেবনকৃত ঔষধ কিন্তু ঘুমের ঔষধ ছিল । অল্পক্ষণের মধ্যেই জ্যোৎস্না ঘুমে অচেতন হয়ে পড়েন । সুযোগ বুঝে ফর্মেসির মালিক জিতেশ ফার্মেসি বাইরের দিকে লক করে চলে যান । রাত্র একটু গভীর হলে আশে-পাশের সব দোকান-পাট বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময়ের পর তাঁর দুই বন্ধু নিয়ে আসে এনার্জি ড্রিংক পান করে পালাক্রমে জ্যোৎস্নাকে গণধর্ষণ করেন । গণধর্ষণের কথা প্রকাশ করার কথা বল্লে উত্তেজিত হয়ে ধর্ষক ফার্মেসির মালিক অভি জিতেশ চন্দ্র গোপ ও তাঁর বন্ধু পার্শ্ববর্তী অপরুপা ফার্মেসির মালিক অসিত গোপ এবং দোকানি বন্ধু অনজিৎ গোপ জ্যোৎস্নাকে হত্যা করে পাশের ফিসারীর পানিতে মরদেহ ফেলতে ইচ্ছা করলেও তা করতে পারেনি রাত শেষ হয়ে প্রভাত হয়ে যাওয়াতে । তাই অমানুষ ধর্ষকরা জ্যোৎস্নার মরদেহকে ছয় টুকরো করে রোগী দেখার টেবিলের নীচে কাপড়ের দ্বারা ঢেকে ফার্মেসি তালাবন্ধ করে চলে যায় । জিতেশ জগন্নাথপুর থেকে পালিয়ে তার নিজ বাড়ী কিশোরগঞ্জ হয়ে ঢাকায় চলে যায় । এদিকে জ্যোৎস্নাকে না পাইয়া জ্যোৎস্নার ভাই থানার সরনাপন্ন হলে থানা থেকে পুলিশ গিয়ে ফার্মেসির তালা ভেঙ্গে জ্যোৎস্নার খন্ডিত লাশ উদ্ধার করে । পরে জ্যোৎস্নার ভাই মামলা করলে জিতেশকে পুলিশ ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে । এর পর অপর দুই ধর্ষকও গ্রেপ্তার হয় ।
Leave a Reply