বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ভূমি বন্ঠনে সিভিল কোর্ট কমিশনারের বিরুদ্ধে
পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী জইন উদ্দিন।
বুধবার সকালে সুনামগঞ্জ শহরের পৌর বিপনীতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে তিনি জানান, হবিবনগর এলাকার ঘুষগাঁও মৌজার জে,এ.এল নং-১৭১,
খতিয়ানের নং ১১৬ ও ৩৩৫ এস এ ৫১ দাগের ৫২ শতক বোরো জমির মধ্যে খরিদা
সুত্রে ২৬ শতক ভূমির মালিক বটে। এই ২৬ শতক ভূমি বাটোয়ারা নিয়ে ইকছড়
গ্রামের হাজী মতচ্ছির আলী ওরফে শেরআলীর সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিবোধ
নিস্পতির জন্য হাজী মতচ্ছির আলী ওরফে শেরআলী আদালতে একটি বন্ঠন মামলা
দায়ের করেন। যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালত সুনামগঞ্জ বিচার বিশ্লেষন করে ২৬
শতক করে ভূমি উভয় পক্ষের মধ্যে নিজেরা মিলে ৩০ দিনের মধ্যে বন্ঠন করে
দেয়ার নির্দেশ দেন। ব্যর্থতায় বাদিপক্ষ আদালতের মাধ্যমে একজন কমিশনার
নিয়োগ করে হারাহারি মতে বন্ঠন করে নেওয়ার নির্দেশ দেন। গত ২৫ মার্চ
বাদিপক্ষ আমাকে না জানিয়ে সিভিল জজ কোর্ট কমিশনার রফিকুল ইসলামকে এনে
ভূমির মাপজোঁক শুরু করেন। এ সময় থানা পুলিশও উপস্থিত ছিলেন। খবর পেয়ে
ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুল মাপজোঁকের প্রতিবাদ করলে পুলিশ আমাকে গ্রেফতারের
হুমকি প্রদান করে চুপ থাকতে বলেন। ইচ্ছামতো বন্ঠন শেষে সাহেবজাদা
সাইয়্যেদ ওয়াহিদ আলীর নির্মাণ করা পাক-পাঞ্জাতনের একটি আসন তাদের জায়গার
উপর পড়েছে বলে দাবি করেন। এবং হাতুড়ি, শাবল দিয়ে পাক-পাঞ্জাতনের আসন
ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেন। পাশাপাশি আমার বসত ভিটাও তার জায়গার উপর পড়েছে বলে
আমাকে জানান। এবং বসত ভিটা ছেড়ে দেয়ার আল্টিমেটাম দেন। এভাবেই আমার বৈধ ৩
শতক জায়গা দখল নেয়ার চেষ্টা প্রায় শেষ পর্যায়ে। সিভিল কোর্টের কমিশনার
মোটা অংকের টাকা খেয়ে ভূমি বন্ঠনে পক্ষপাতিত্ব করছেন। সঠিক মাপজোঁক না
হওয়ায় তিনি তাদের মাপজোঁক প্রত্যাখান করেন। নিরপেক্ষভাবে ভূমি বন্ঠন করে
উভয় পক্ষের বিরোধ নিস্পতি করতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি ।
Leave a Reply