শিহাব উদ্দিন রাহুল::
সুনামগঞ্জ –৩ আসনের এমপি, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, হাওরের বাঁধ নির্মাণে কোনো ধরনের অনিয়ম, দূর্নীতিবরদাশত করা হবে না। তবে হাওয়র রক্ষায় এখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সবার আগে হাওররক্ষা করতে হবে।
শনিবার (৯ এপ্রিল) দুপুর ১ ঘটিকায় মন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সর্ববৃহৎ নলুয়া হাওরেরবোরো ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধের কাজ পরিদর্শন শেষে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের নিকট এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগে যে ভয়ঙ্কর অবস্থায় ছিল হাওরের এখন সেটি কমেছে। পানির চাপও কমছে। প্রাকৃতি অবস্থাঅনেকটা ভালো। যদিও আমরা সম্পূর্ণ বিপদমুক্ত নই। সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, হাওর পরিদর্শনকালে একটি আনন্দের বিষয়দেখতে পেলাম কৃষকরা ধান কাটছেন। ১০ শতাংশ ধান কাটা শুরু হয়েছে। দুই তিনদিনের মধ্যে ৫০ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েযাবে আশা করা যাচ্ছে।
হাওরের কয়েকটি প্রকল্পে অনিয়ম দূর্নীর্তির অভিযোগ রয়েছে, এবিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমএ মান্নান বলেন, এখনও কাজ নিয়ে দুষাদুষির সময় নয়, আগে হাওরের ফসলরক্ষায় আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবেহাওরের বাঁধের কাজে কোনো ধরনের অনিয়ম দূর্নীতি সহ্য করা হবে না।
এরআগে মন্ত্রী নলুয়া হাওরের ৪ .৫ ও ৬ নম্বর প্রকল্পের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ এলাকায় পরিদর্শন করে স্থানীয় কৃষক ও বাঁধের কাজেসংস্পৃক্ত লোকজনের সঙ্গে কথা বলে খোঁজ খবর দেন। এসময় তিনি বলেন, বাঁশ, বস্তা ও মাটিসহ বাঁধ রক্ষায় যেসব উপকরণপ্রয়োজন তা যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে। অর্থের বিষয়টি আমি মন্ত্রনালয়ে চিঠি প্রেরণ করব। মিলেমিশে সবাই বাঁধরক্ষায়কাজ করতে হবে।
পরিদর্শনকালে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের জাহাঙ্গীর হোসেন, জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজেদুলইসলাম, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সামছু–দু–হা, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আকমল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদেরচেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বকুল, সাবেক চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, সিরাজুল হকসহ বিভিন্ন শ্রণী প্রেশার লোক উপস্থিত ছিলন।
Leave a Reply