মোঃ মুকিম উদ্দিন স্টাফ রিপোর্টার ::
জাতীয় ‘দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকার’ জগন্নাথপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক দেশবাংলা টুয়েন্টি ফোর ডটকমের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মুকিম উদ্দিন ও আব্দুস সোবহানের যৌত উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের নোয়াপাড়া জামে মসজিদে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ইফতারপূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব কলমধর আলী। সঞ্চালনা করেন নোয়াপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা জাকির হুসাইন।ইফতার মাহফিলে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, হযরত মাওলানা শায়েখ সাজিদুর রহমান মোহতামিম, শায়খুল হাদিস হযরত মাওলানা তোফায়েল আহমদ কামরান দাঃ বাঃ, শায়খুল হাদিস হযরত মাওলানা আব্দুল হক দাঃ বাঃ, শায়খুল হাদিস হযরত মাওলানা শামীম নুর দাঃ বাঃ, শায়খুল হাদিস হযরত মাওলানা নাজমুল ইসলাম নোমান দাঃ বাঃ, হযরত মাওলানা মুফতি ফরিদ আহমদ শ্রীধরপাশা দারুল উলুম টাইটেল মাদরাসা, ক্বারী মাওলানা আব্দুল্লাহ, ইমাম নুর নবী জামে মসজিদ জগদীশপুর, হাফিজ ছিদ্দিকুর রহমাম নোয়াপাড়া জামে মসজিদ, হাফিজ আবু মুছা তাহিরপুর, মোঃ মকবুল হোসেন কোষাধ্যক্ষ নোয়াপাড়া জামে মসজিদ সদস্য আব্দুল হাকিম, শিবলু মিয়া, বজলু মিয়া, আনাছ আলী, আবুল হোসেন, আলী আসকর, আবুল কালাম, জয়নাল আবেদীন, খোকন মিয়া, রূপন মিয়া, মোঃ কাইয়ুম উদ্দিন বাবুল, দিলোয়ার হোসেন, প্রমুখ।
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে দৈনিক দেশবাংলা টুয়েন্টি ফোর ডটকমের সম্পাদক ও প্রকাশক হিফজুর রহমান তালুকদার জিয়া, দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার জগন্নাথপুর উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক রিয়াজ রহমান,দৈনিক দেশবাংলা টুয়েন্টি ফোর ডটকমের উপদেষ্টা সাংবাদিক হুমায়ূন কবির, দৈনিক সিলেটের দিনরাত পত্রিকার জগন্নাথপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও আগামীর সময় পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হুমায়ূন কবীর ফরীদি প্রমুখ।
কোরআন হাদিসের আলোকে বয়ান পেশ করেন হযরত মাওলানা আব্দুল হক মুহাদ্দিস শ্রীধরপাশা দারুল উলুম টাইটেল মাদরাসা , রমজানুল মোবারকের গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তিনি বলেন, রমজানের আগমনে বিশ্বনবী অনেক আনন্দিত হতেন। রাসুল (সাঃ) কোরআনের ঘোষণা দিয়ে এ মাসের বিশেষ ফজিলত বর্ণনা করতেন হে ঈমানদারগন তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যে ভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল। যাতে তোমরা মুত্তাকী হতে পার।
রমজানের বৈশিষ্ট্য হলো এটি কোরআন নাজিলের মাস। রমজানে এক সম্মানিত রাতে
(লাইলাতুলকদরে) আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুহাম্মদির জীবন পরিচালনার গাইড হিসাবে মহাগ্রন্থ কোরআনুল কারিম নাজিল করেছেন। যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী।
রমজান মাসে জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হয় রমজানের সম্মানে জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয় এবং এ মাসের বরকত লাভে শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয়। রমজান মাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো লাইলাতুল কদর। রাতটি হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম। এরাতে কোরআন নাজিল করা হয়েছে। রমজানের শেষ দশকের বেজোড় যে কোন একটি রাতই লাইলাতুলকদর। লাইলাতুলকদর হলো এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। রমজান মাসে প্রত্যেক মুসলমান আল্লাহর সমীপে দোয়া করে। আর তা কবুল হয়ে যায়। রমজান মাস জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস। এমাসকে তিন দশকে ভাগ করা হয়েছে। এ মাসের প্রত্যেক রাতে একজন ঘোষনাকারী এ বলে ডাকতে থাকে ‘হে কল্যাণের অনুসন্ধানকারী তুমি আরও অগ্রসর হও হে অসৎ কাজের পথিক তোমরা অন্যায় পথে চলা বন্ধ কর। এ মাসের প্রতি রাতে কত লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। ক্ষমা পাওয়ার মাস রমজান। রমজান পাওয়ার পরও যারা নিজেকে পাপ থেকে মুক্ত করতে পারলনা তাদের ধিক্কার জানিয়েছেন রাসুল (সাঃ)। বিশ্বনবী ৩ ব্যক্তির ব্যাপারে বলেছেন, ওই ব্যক্তির নাম ধুলায় ধূসরিত হোক যার সামনে আমার আলোচনা হলো কিন্তু সে আমার প্রতি দরূদ পড়লোনা। ওই ব্যক্তির নাম ধুলায় ধূসরিত হোক যার কাছে রমজান মাস এসে চলে গেল অথচ গুনাহ মাফ করাতে পারলোনা, ওই ব্যক্তির নাম ধুলায় ধূসরিত হোক যে তার বৃদ্ধ বাবা মাকে পেল কিন্তু তাদের মাধ্যমে জান্নাত উপার্জন করতে পারলনা। রমজান মাসে ভালো কাজের প্রতিদান বহুগুনে বাড়িয়ে দেয়া হয়। যে ব্যক্তি রমজান মাসে একটি নফল ইবাদত করল সে যেন অন্য মাসের একটি ফরজ আদায় করল। রমজানে যে ব্যক্তি একটি ফরজ আদায় করল, সে যেন অন্য মাসের ৭০ টি ফরজ আদায় করল। রোজাদরের বিশেষ সম্মানে জান্নাতের একটি দরজা শুধু রোজা পালনকারীদের জন্যই নির্ধারিত। এ দরজা দিয়ে অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবেনা। রাসুল (সাঃ) বলেছেন, জান্নাতের একটি দরজা রয়েছে “রাইয়ান”। কেয়ামতের দিন শুধু রোজাদারগন এ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবেন। কেয়ামতের দিন ঘোষনা করা হবে-রোজাদারগন কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। রোজাদার ব্যতিত অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবেনা। তারা জান্নাতে প্রবেশের পর সে দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে। আর কেউ প্রবেশের সুযোগ পাবেনা। এছাড়াও রমজান মাসের অনেক ফজিলত ও মর্যাদা রয়েছে যা মেনে চলা প্রত্যেক মুসলমানের একান্ত করনীয়। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানের ফজিলত ও বিশেষ বৈশিষ্ট্য গুলো যথাযথভাবে পালনের তাওফিক দান করুন। রমজানের রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাত লাভে তাওফিক দান করুন।আমিন। ইফতারপূর্ব মুহুর্তে মোনাজাত করেন হযরত মাওলানা শায়েখ সাজিদুর রহমান মুহতামিম শ্রীধরপাশা দারুল উলুম টাইটেল মাদরাসা।
Leave a Reply