বিশেষ প্রতিনিধি::
জগন্নাথপুর পৌর শহরের বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে দেদারছে চলছে কোচিং বাণিজ্য। সরকার কর্তৃক কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধে নির্দেশনা দিলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধাগুলি প্রদর্শন করে প্রশাসনের নাকের ডগায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের রমরমা কোচিং বাণিজ্য।
জগন্নাথপুর পৌর শহরে প্রায় ৩০টি শিক্ষকের বাসা বাড়িতে কোচিং সেন্টার সহ পুরো উপজেলায় প্রায় শতাধিক কোচিং সেন্টার চলমান রয়েছে। শিক্ষকদের বাসা বাড়িতে পড়তে আসা ছাত্রীরা প্রায় সময় শিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানীর শিকার হয়। এতে ছাত্রীদের অভিভাবকরা তাদের মেয়েদের শিক্ষকদের বাসা বাড়িতে কোচিংয়ে পড়তে পাঠিয়ে আতংকে দিন কাটায়।
সম্প্রতি জগন্নাথপুর পৌর শহরের বাসুদেব বাড়ি এলাকায় হিজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক বিজয় কৃঞ্চ দাস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত তার কোচিং সেন্টারে ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে উত্তেজিত অভিভাবকদের হাতে গণধোলাইয়ের শিকার হন শিক্ষক বিজয় কৃঞ্চ দাস। সে জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের দাসনোয়া গাঁও গ্রামের বীরেন্দ্র কুমার দাসের ছেলে।
যৌন হয়রানীর অভিযোগে শিক্ষক বিজয় দাসকে গণধোলাই-এর সংবাদটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলেও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। শিক্ষক বিজয় দাস গণধোলাইয়ের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশের পর সচেতন লোকজন নিজ নিজ আইডি থেকে বিভিন্ন মন্তব্য করেন। যার কারণে শিক্ষকদের মান সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনেক শিক্ষক জানিয়েছেন।
গণধোলাইয়ের পর ৫দিন নিজ কর্মস্থল হিজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলেও গত শনিবার থেকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত রয়েছেন বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ ফারুক আহমদ জানিয়েছেন।
জগন্নাথপুরে শিক্ষকদের বাসা বাড়িতে চলমান কোচিং সেন্টারে সম্পর্কে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একে এম মোখলেছুর রহমান জানান, সরকার কর্তৃক কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় দুর্বল হলে বিশেষ ক্লাসের করতে পারবে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে কিন্তু কোনবাসা বাড়িতে কোচিং করতে পারবেনা।
একই বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মানিক চন্দ্র দাস জানান, সরকারি নিয়ামানুযায়ী কোন বাসা বাড়িতে কোচিং চলতে পারেনা। সম্প্রতি শিক্ষক বিজয় কৃঞ্চ দাস এর ভাড়া বাসার কোচিং সেন্টারে যৌন হয়রানীর কারণে লাঞ্চিত করার বিষয়টি আমার জানা নেই।
উপজেলার সচেতন অভিভাবকেরা বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষকদের বাসা বাড়ির কোচিং সেন্টারগুলো নজরদাবী করার জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।
Leave a Reply