বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার পৌর শহরের সি এ মার্কেটে অবস্থানরত লোকমান ওরফে আলমগীর সাপুড়ের বেপরোয়া ধান্ধাবাজে অতিষ্ঠ জগনাথপুর উপজেলাবাসী। প্রায় কয়েক বছর পূর্বে সুনামগঞ্জ থেকে জগন্নাথপুর আসে লোকমান ওরফে আলমগীর সাপুড়ে , সে পৌর শহরের সি এ মার্কেটে সপরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছে লোকমান সাপুড়ে। অনেক দিন একজায়গায় অবস্থান করায় উপজেলাবাসীর আচার-আচরণ অনুধাবন করে। হঠাৎ করে বেপরোয়া ধান্ধাবাজি শুরু করে লোকমান, সে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সহজ-সরল লোকদের সাপ ধরার কথা বলে বিভিন্ন ধান্ধা দেখিয়ে টাকা-পয়সা সোনা গহনা হাতিয়ে নেয় পুরুষ-মহিলাদের কাছ থেকে। কয়েকদিন পূর্বে পৌর শহরের কেশবপুর গ্রামের আনহার মিয়ার বাড়িতে যায় লোকমান,সে আনহার মিয়ার বাড়ির চারপাশে লোকদের অগোচরে কৌশলে তাবিজ লুকিয়ে রেখেছে, আনহার মিয়ার পরিবারের লোকজনের চোখে ধান্দা লাগিয়ে খড়ির মধ্যে একজাতীয় মেডিসিন পাওয়ার মোটি দিয়ে আগুন ধরিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয় এবং পৌর শহরের শেরপুর গ্রামের জুয়েল মিয়ার বাড়িতে একই ধান্দা দেখিয়ে সোনা সহ টাকা হাতিয়ে নেয়, এদিকে পৌর শহরের দুই নং ব্রিজের পাশে টিটু মিয়ার বাড়িতে সাপ ধরার জন্য গেলে তার সাথে করে ২ টি সাপ নিয়ে আসে এবং সবার চোখে ধান্দা লাগিয়ে কৌশলে সাপ ২ টি লুকিয়ে রাখে, তার পর লুকিয়ে রাখা সাপ একটি ধরে জোলায় রেখে অন্যটি ধরতে চাইলে আশপাশের লোকজন লুকিয়ে রাখা সাপটি দেখে চিৎকার চেচামেচি শুরু করলে সাপুড়ে লোকমান ওরফে আলমগীর সাপ ফেলে পালিয়ে যায়। সেখানে দেখাযায় কালো কাপড় দিয়ে মরানো একটি বিষাক্ত মাছুয়া অলদ সাপ রাখা, সেখান থেকে লুকিয়ে রাখা সাপটি প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন উদ্ধার করে আনে।
এ বিষয়ে টিটু মিয়া দৈনিক দেশ বাংলা টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন আমি কয়েকদিন পূর্বে সাপুড়ে লোকমানকে সাপ ধরার জন্য আরাম বাড়িতে আনি সে তার সাথে করে লুকিয়ে ২ টি সাপ নিয়ে আসে, আমাদের সকলের চোখে ধান্দা লাগিয়ে কৌশলে দুই জায়গায় দুটি সাপ রেখে একটি সাপ ধরে আমাদের কে দেখায় ও লুকিয়ে রাখা আরেকটি সাপ আনতে গেলে অনান্য লোকজন দেখে ফেলে এবং লোকগুলো চিৎকার চেচামেচি শুরু করলে লোকমান আমার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। আমি সাপুড়ে লোকমান প্রতারক থেকে দূরে থাকতে সকলকেই অনুরোধ করছি। প্রতারক সাপুড়ে লোকমানের প্রতারণা ও ধান্ধাবাজি থেকে দূরে থাকতে উপজেলাবাসীর প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছেন এবং সেই সাথে ধান্ধাবাজি সাপুড়ে লোকমান কে আইনের আওতায় এনে সাধারণ মানুষকে ধান্ধাবাজির হাত থেকে রক্ষা করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
Leave a Reply