মোঃ মুকিম উদ্দিন স্টাফ রিপোর্টার::

আসন্ন জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহন হবে। প্রথমার্ধে প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ কম থাকলেও দিন যত ঘনিয়ে আসছে ভোটারদের দাড়ে দাড়ে প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিজয় নিশ্চিত করতে মরিয়া হয়ে উঠৈছে আওয়ামিলীগ। নির্বাচনী মাঠে ঝাপিয়ে পড়েছেন প্রার্থীসহ তাদের কর্মী সমর্থকরা। সুদুর প্রবাসে থেকেও চলছে পচন্দের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার প্রচারনা। তবে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচ প্রার্থী নির্বাচনী মাঠ সরগরম করে রেখেছেন। এছাড়া জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আকমল হোসেন (নৌকা) সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান (মোটরসাইকেল) আওয়ামিলীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তাদির আহমদ (আনারস) জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সৈয়দ তালহা আলম (খেজুরগাছ) জাতীয় পার্টির যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্বাস চৌধুরী লিটন (ঘোড়া) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
শনিবার ২৯ অক্টোবর জনমত জরীপে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে সরজমিন ঘুরে দলীয় নেতাকর্মী ও একাধিক ভোটারদের সাথে আলাপকালে জানাযায়, বিএনপির প্রার্থী আলহাজ্ব আতাউর রহমান (মোটর সাইকেল) প্রতীক নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন এবং সকলের মুখে মুখে মোটরসাইকেলর জয়ধ্বনি শুনা যাচ্ছে । এদিকে আওয়ামীলীগের দুই প্রার্থী আলহাজ্ব আকমল হোসেন এবং যদিও স্বতন্ত্র প্রার্থী কিন্তু জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের একটি পদে দায়িত্বে আছেন মুক্তাদির আহমদ (আনারস) প্রতীক এর নামও এলাকায় শোনা যাচ্ছে।

অধিকাংশ ভোটার তাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করে বলেন, সেয়ানে সেয়ানে লড়াই হবে। কারণ উপজেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি আকমল হোসন (নৌকা), একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুক্তাদির আহমদ এই দুইজনের ভোট ভাগাভাগিতে এগিয়ে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান। এই তিন ব্যক্তিই উপজেলা পরিষদের চেয়ারে বসেছেন। এদিকে ভোটারা মনে করেন জমিয়তের সৈয়দ তালহা আলম এবছর প্রথম এসেছেন তাহার পরিচিতিও কম বয়সও তেমন বেশি নয়, তিনির জন্য ভাল হতো ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করলে। তারা আরও জানান, আওয়ামীলীগের দুই জন পার্থী যদিও বিএনপির নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেনি তবুও বিএনপির ভোট আতাউর রহমানে দিবে তাই তিনজনই হেভিওয়েট প্রার্থী। তবে এপর্যন্ত এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান এগিয়ে রয়েছেন।

সরকার দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব আকমল হোসেন দাবি করেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ উন্নয়ন করেছি, তাই জনগণ আমাকে নির্বাচিত করবেন। বিএনপির প্রার্থী আলহাজ্ব আতাউর রহমান বলেন, সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন হলে আমি জয়যুক্ত হবো বলে আশা করছি। আওয়ামিলীগের (স্বতন্ত্র) প্রার্থী মুক্তাদির আহমদ বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এলাকায় তার ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে।
এদিকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সৈয়দ তালহা আলম প্রথম বারের মতো প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্বাস চৌধুরী বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।