বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি::
বাকেরগঞ্জের দুধল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গোমা গ্রামে গ্রীল কেটে ঘরে ঢুকে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় দু‘দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ। পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজন ডাকাতদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, শনিবার গভীর রাতে বাকেরগঞ্জের আতাহাহার উদ্দিন টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মাহবুবুর রহমান লিটনের দুধল ইউনিয়নস্থ গোমা গ্রামের বাড়িতে ৮/১০জনের মুখোসধারী সশস্ত্র ডাকাত দল গ্রীল কেটে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে নগদ আড়াই লাখ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ অন্তত: ২০লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। ডাকাতরা বসত:ঘরের কয়েকটি আলমারী, ওয়ারড্রপ ও ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার ভেঙ্গে দলিল পত্র, চাকুরির গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে যায় এবং মালামাল তছনছ করে। এঘটনায় রবিবার সকালে অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান বাকেরগঞ্জ থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করলেও পুলিশ নিয়মিত মামলা নেয়নি। অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান লিটন অভিযোগ করে বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পবিরারের সবাই ঘুমে নিমগ্ন থাকাবস্থায় তার বসত:ঘরের জানালার গ্রীল কেটে ঘরে ঢুকে পরিবারের সবাইকে ধারালো ও আগ্নেয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমারী, ওয়ারড্রপ ও ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ আড়াই লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার, জমিজমার দলিল পত্র, চাকুরির গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ অন্তত: ২০লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতরা পরিবারের সদস্যদের মারধরসহ অসৌজন্য আচরণও করেছে। খবর পেয়ে প্রতিবেশী লোকজন ছুটে আসার আগেই ডাকাতরা দ্রুত পালিয়ে যায়। এলাকার একটি দুষ্টচক্র শত্রুতাবসত: পরিকল্পিত ভাবে এমন দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা তার। থানা পুলিশকে সন্দেহ ভাজন ডাকাতের তথ্য দেয়া হলেও মামলা রেকর্ড করতে গরিমশি করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আলাউদ্দিন মিলন বলেন, ডাকাতির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। দায়েরকৃত অভিযোগের তদন্ত চলছে। গরিমশির অভিযোগ সঠিক নয়। জড়িতদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে।
Leave a Reply