প্রতিনিধি, বরিশাল থেকে::
বরিশালের বাকেরগঞ্জে প্রত্যন্ত গোমা গ্রামে গ্রীল কেটে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় হৃদয় রায় (৩৫) ও অমল রায় (৩২) নামের সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের দু‘সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনার দু‘দিন পর গত সোমবার রাতে দুধল ইউনিয়নের সুন্দরকাঠির বলিয়ান পাড়া এলাকার গৌরাঙ্গ রায়ের ছেলে সন্দেহভাজন হৃদয় রায়কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়। তার স্বীকারোক্তি এবং তার মোবাইল ফোন ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আরও একজনকে আটক করা হয়। বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মাকসুদুর রহমান দু‘ডাকাতকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গতশনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার আতাহার উদ্দিন টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মাহবুবুর রহমান লিটনের দুধল ইউনিয়নস্থ গোমা গ্রামের বাড়িতে ৮/১০জনের মুখোসধারী সশস্ত্র ডাকাত দল গ্রীল কেটে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে নগদ আড়াই লাখ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ অন্তত: ২০লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়। ডাকাতরা বসত:ঘরের কয়েকটি আলমারী, ওয়ারড্রপ ও ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার ভেঙ্গে দলিল পত্র, চাকুরির গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে যায় এবং মালামাল তছনছ করে। এঘটনায় রবিবার সকালে অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান বাকেরগঞ্জ থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করেন। এজাহারে অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান লিটন অভিযোগ করেন, শনিবার রাতের খাবার খেয়ে পবিরারের সবাই ঘুমিয়ে গেলে গভীর রাতে সশস্ত্র ডাকাতরা তার বাড়িতে হানা দেয় এবং বসত:ঘরের জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমারী, ওয়ারড্রপ ও ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ আড়াই লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার, জমিজমার দলিল পত্র, চাকুরির গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ অন্তত: ২০লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। থানা পুলিশ এ দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহভাজন সুন্দরকাঠির বলিয়ান পাড়ার গৌরাঙ্গ রায়ের ছেলে হৃদয় রায়কে ঘটনার দু‘দিন পর আটক করে এবং তার স্বীকারোক্তি ও মোবাইল ট্রাকিংয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের অপর এক সদস্যকে মঙ্গলবার আটক করতে সক্ষম হন। ধৃত দু‘ডাকাত সদস্যকে কোর্টে সোপর্দ্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান বলেন, ডাকাতির মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে দু‘আসামিকে কোর্টে চালান করা হয়েছে। ডাকাতচক্রের অপর সদস্যদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।
Leave a Reply