হিফজুর রহমান তালুকদার জিয়া::
সিলেটে ওসমানী জাদুঘরের উদ্যোগে ১০৫তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে
সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) জাকারিয়া বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল এমএজি ওসমানী ছিলেন আমাদের জাতীয় ইতিহাসের উজ্জ্বল নক্ষত্র। বঙ্গবীর এমএজি ওসমানী দেশ ও জাতির কল্যাণে সমগ্র জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। তাকে ছাড়া বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গঠন করা যাবে না। ওসমানীর ঘটনাবহুল ব্যতিক্রমী জীবন ও কর্ম এবং তাঁর অনুকরণীয় জীবনাদর্শ বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেণার উৎস।
তিনি বলেন, জীবনের সকল ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করে তিনি নিজেকে একজন আজীবন গণতন্ত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সততা, নীতিনিষ্ঠা, ন্যায়পরায়ণতা, আদর্শবাদিতা, সময়জ্ঞান এবং নিখাঁদ দেশপ্রেম তাঁকে একজন অনন্য সাধারণ মানবরূপে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছে। তিনি সর্বকালে বাংলাদেশ এবং বাঙ্গালী জাতির জন্য এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবেন।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর ধোপাদিঘীরপাড়স্থ ওসমানী যাদুঘর প্রাঙ্গনে মহান মুক্তিযুদ্ধের সেনাপতি (সি-ইন-সি) জেনারেল মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী’র ১০৫তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোবারক হোসেন এর সভাপতিত্বে ও কাজী জালাল উদ্দীন বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক রুনা সুলতানার সঞ্চালনায় প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবীর ওসমানী গবেষণা ইনস্টিটিউট এর চেয়ারম্যান যুদ্ধাহ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ মালেক খান, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক ও কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী, সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর ড. সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম, সিলেট সদর উপজেলার সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী ইরশাদ আলী, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযেদ্ধা এসএম নাজিম উদ্দীন, ফুলকলি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড সিলেটের ডিজিএম জসিম উদ্দিন খন্দকার। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওসমানী জাদুঘরের সহকারি কীপার মো. জিয়ারত হোসেন খান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হবিগঞ্জ সমিতি সিলেটের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের চৌধুরী, অধ্যক্ষ বিজিত রঞ্জন বৈদ্য। এতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন রিফাত ও ঐশি রঞ্জন বৈদ্য।
আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী গোলাম মর্তুজা ও পবিত্র গীতা পাঠন করেন অনিকেত রায়।
বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১৩৮জন শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শেষে আগতদের মাঝে শিরনী বিতরণ করা হয়।
Leave a Reply