মোঃ মুকিম উদ্দিন স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পল্লী বিদ্যুৎ এর ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারনে অতিষ্ঠ জন জীবন, তারপরও জগন্নাথপুরে চলছে ঘন ঘন লোডশেডিং। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলগুলো পড়েছে লোডশেডিংয়ের কবলে। দিন কিংবা রাত সমান তালে হচ্ছে লোডশেডিং। দিন-রাত সমানতালে লোডশেডিং হচ্ছে এমন অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা যায়, সুনামগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন এলাকা জগন্নাথপুর উপজেলায় গত একমাস ধরে তীব্র লোডশেডিং হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টায় অর্ধেকের বেশি সময়ই থাকছে না বিদ্যুৎ। ফলে শিশু-বৃদ্ধসহ বাড়িতে থাকা অসুস্থ মানুষজনকে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। তাদের বিশ্রামের প্রয়োজন হলেও বিদ্যুৎ না থাকায় ঘরে থাকতে পারছেন না তারা। ফলে গাছের ছায়ায় ঠাণ্ডাযুক্ত স্থানে মাদুর বিছিয়ে বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। এ ছাড়াও খাবার রান্নাসহ ঘরের আনুষঙ্গিক কাজ করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গৃহিণীরা। রাতেও বিদ্যুতের একই অবস্থা হওয়ার কারণে ভোগান্তি আরও বেড়েছে।
জগন্নাথপুর পল্লী বিদ্যুৎ এর জোনাল অফিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন এ এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা যেখানে ৮ মেগাওয়াট সেখানে বিদ্যুতের যোগান ৩ মেগাওয়াট। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুতের যোগান না থাকায় লোডশেডিং হচ্ছে বলে জানায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। এলাকার হাবিবুর রহমান বলেন, সারাদিন মিলে অর্ধেক সময়ও বিদ্যুৎ থাকছে না। রাতেও একই অবস্থা।
রোসনা বেগম বলেন, সন্ধার পর যখন ছেলে মেয়ে পড়তে বসে সেই থেকে শুরু হয় বিদ্যুৎ এর লুকোচুরি খেলা এছাড়াও গেল মাস যাবৎ লোডশেডিংয়ের কারণে রান্নাও করতে পারছি না। বন্যার সময়ও লোডশেডিংয়ের কারনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে একদিকে শাপের ভয় অন্য দিকে অন্ধকার।
জগন্নাথপুর এলাকার একাধিক স্টুডিও ব্যবসায়ী বলেন, ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় ছবি উঠাতে আসা গ্রাহকদের অনেক সময় ধরে বসে থাকতে হচ্ছে। তীব্র লোডশেডিং এ যেন এক নাজেহাল অবস্থা।
কনফেকশনারি ব্যবসায়ীরা বলেন, গরমে আইসক্রিম ও কোল্ড ড্রিংসের চাহিদা বেশি থাকে। কিন্তু এই লোডশেডিংয়ের কারণে আইসক্রিম গলে যাচ্ছে ও কোল্ড ড্রিংকসও গরম হয়ে যাচ্ছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুন্নি আক্তার বলেন, বিদ্যুতের এই অবস্থায় পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারছি না।
বিশিষ্ট সমাজ সেবক আওয়ামিলীগ নেতা ফয়সল মিয়া বলেন, সারা দেশে ব্যাপকহারে বিদ্যুৎ অপচয় হচ্ছে। লোডশেডিং কমাতে হলে প্রথমত আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করা গেলে তুলনামূলকভাবে লোডশেডিং কমিয়ে আনা সম্ভব।
জগন্নাথপুর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ব্যবস্থাপক দেশবাংলাকে জানান, আমরা বিদ্যুৎ কম পাচ্ছি। তাই সকল এলাকায় বিদ্যুৎ সেবা দিতে গিয়ে লোডশেডিং হচ্ছে।
Leave a Reply