স্টাফ রিপোর্টার::
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও স্বাধীন গণমাধ্যমের অন্তরায় যাবতীয় কালা কানুন বাতিল করার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রধান উপদেষ্টা, বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নজরুল গবেষক রাষ্ট্রচিন্তক, মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান। তিনি গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, জুমাবার বিকেল ৩. ০০ ঘটিকায় বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ইউনিটির কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক আয়োজিত বিশেষ কর্মশালা ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন। তিনি আরো বলেন আমরা বস্তুনিষ্ঠ ও স্বাধীন সাংবাদিকতার কথা বললে, গণমাধ্যমে সংস্কার ও নিয়োগ কমিশন গঠন করতে হবে। দালালদের অপসারণ করতে হবে। এই সরকারের প্রথম কাজ হবে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে স্বাধীন গণমাধ্যম ও সম্প্রচার নীতিমালা প্রস্তুত করা।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমকর্মীরা গণ-অভ্যুত্থানে ভূমিকা পালন করেছে। এখন দেশগঠনেও ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এর প্রয়োজনীয় সংস্কার ও সংশোধন করতে হবে। যোগ্যতা সম্পন্ন অনলাইন পোর্টাল ও আইপি টেলিভিশনকে দ্রুত নিবন্ধন দিতে হবে। পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায় সহ সারা দেশের গণমাধ্যম কর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেন, গণমাধ্যমে কর্মরতদেরকেও যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট এর মানবৃদ্ধি করতে হলে জ্ঞানার্জন ও প্রশিক্ষণ এর কোন বিকল্প নেই। মনে রাখতে হবে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকরা হলেন রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে, মুল গণমাধ্যম এর পাশাপাশি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, আইপি টিভির ভূমিকা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।
বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ইউনিটির,র প্রতিষ্টাতা সভাপতি আহমেদ হোসাইন ছানু,র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায়, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি ও কথা সাহিত্যিক জাতীয় নারী সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাসরিন ইসলাম শেলী, তিনি বলেন যে, সত্য বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সমৃদ্ধ জাতি ও দেশ গঠনে। সাংবাদিকদের আইন জানা অতীব জরুরী। সংবাদ সংগ্রহের পদ্ধতি পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে আয়ত্ত করা যেমন জরুরী। তেমনি সততা নিষ্ঠার পাশাপাশি যথেষ্ট শিষ্টাচার ও সৌজন্য বোধ থাকা অপরিহার্য। এগুলোর সমন্বয়ে আপনারা দৃঢ় মনোবল এর অধিকারী হবেন। তখনই দক্ষতার সহিত অত্যন্ত সুকৌশলে সঠিক ও সত্য সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচারের ফলে আপনি তুখোড় সাংবাদিক হিসাবে পরিচিতি লাভ করবেন শুধু দেশেই নয় বিশ্বের দরবারে।
মনে করুন, একজন চাকুরীজীবি সৎ ও নিষ্ঠাবান। কিন্তু শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ নেই। সৎ ও নিষ্ঠাবান থাকা সত্বেও এই মানুষটি কে কেউ পছন্দ করবে না। তেমনি যথেষ্ট শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ রয়েছে, কিন্তু সততা ও নিষ্ঠার অভাব রয়েছে। এমন মানুষ কেউ কেউ পছন্দ করবেন না। কাজেই একজন সাংবাদিকের এই বিষয়গুলো লালন পালন ও সঠিক সময়ে প্রয়োগ করতে পারলে সফলতা আসবেই। কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাচিক শিল্পী ও সংগঠক সুলতানা রাজিয়া। লেখক, কলামিস্ট ও গণমাধ্যম বিশ্লেষক ওমায়ের আহমেদ শাওন।
সাংবাদিক মোঃ রহমত উল্লাহ। কবি সাহিত্যিক ও সাংবাদিক এম.কে. জাকির হোসাইন বিপ্লবী, মোঃ রনি মিয়া। রাব্বি আল হাসান, সংগীত শিল্পী ফারহান, কবি তন্ময় কুমার তনু, সাকিব প্রমুখ।
Leave a Reply