মোঃ মুকিম উদ্দিন স্টাফ রিপোর্টার::
একসময় গ্রামের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় দেখা যেত ছনের ঘর। এসব ছনের ঘর ছিল স্বাস্থ্যসম্মত।
দুই দশক আগেও সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে গরীব ও মধ্যবিত্তদের ছনের চালা ঘর দেখা গেছে। বিত্তবানদের বাড়িতে নির্মাণ করা হতো ছনের কাচারি ঘর বা বৈঠকখানা।
স্থানীয়রা জানান, আগে গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই সুন্দর ছাউনির পরিপাটি ছনের ঘর ছিল।
ঘরের দেয়াল, বেড়া তৈরিতেও অনেক সময় ছন ব্যবহৃত হতো। প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে ছন সংগ্রহ করে শ্রমিক লাগিয়ে ঘরের ছাউনি দেওয়া হতো। এগুলো ছিল গ্রামীণ ঐতিহ্য। কেউ কেউ ছন কেটে শুকিয়ে ভার বেঁধে বাজারে নিয়ে বিক্রি করতেন। গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠত ছনখলা। সেখানে ছনের অভয়ারণ্যের পাশাপাশি দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির পাখির আবাসস্থলও ছিল। ছনের চালার মধ্যে চড়ুই পাখিও বাসা বাঁধত। স্থানীয়দের মতে, ছনের চালা ঘর ছিল খুবই স্বাস্থ্যসম্মত।
সম্প্রতি জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এখন ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে কয়েকটি ছনের ঘর। তবে ছনের ঘরে মৌসুমের পরিবর্তনের সঙ্গে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়, যা আরামদায়ক। ছনের চালার ঘরগুলো আরামদায়ক ও স্বাস্থ্যসম্মত। গরমের সময় দিনের বেলাও ঘরে ঘুমানো যেত অনায়াসে। এখন গ্রামের বাড়িতে ছনের ঘর দেখাই যায় না। তবে বিত্তবান ও শৌখিন কেউ কেউ এখনও ঐতিহ্য ধরে রাখতে বাড়িতে ছনের ঘর তৈরি করেন।
Leave a Reply