জগন্নাথপুর প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কুবাজপুর গ্রামের মৃত্যু নূর মিয়া চৌধুরীর পুত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসী শাহ শুবা চৌধুরী গংদের মালিকানা বালুচর ফিসারীতে মাছ ধরতে বাঁধা নিষেধ করে একই গ্রামের লুবন চৌধুরী গংদের লোকজন। গত (২১ জানুয়ারি) সোমবার মালিকানা বালুচর ফিসারিতে মাছ ধরতে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন শাহ শুবা চৌধুরীর কেয়ারটেকার আফাজ চৌধুরী। ঐসময় মাছ ধরতে হলে চাঁদা দাবী করেন লুবন চৌধুরী গংরা। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় শাহ শুবা চৌধুরী লোকজনের উপর হামলা, ভাঙচুর লুটপাট করে লুবন সহ তার লোকজন। এই ঘটনায় প্রবাসী শাহ শুবা চৌধুরী ,শাহ শাহাব চৌধুরী ,শাহ ইদুজ্জোহা চৌধুরীগংদের কেয়ারটেকার ওচাচত ভাই আফাজ চৌধুরী বাদী হয়ে লুবন মিয়াকে প্রধান আসামী করে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আসামিরা হলো লুবন মিয়া চৌধুরী,খলিল মিয়া চৌধুরী, ইয়াওর মিয়া চৌধুরী, সায়েক চৌধুরী, নাঈম চৌধুরী, ছাতির মিয়া চৌধুরী ও শানুর মিয়া।
অভিযোগে উল্লেখ করেন, লন্ডন প্রবাসী শাহ শুবা মিয়া চৌধুরী সহ তিনির ভাইগণ পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। আফাজ চৌধুরী আপন চাচাতো ভাই প্রবাসীদের মালিকানাধীন জাগা জমিন ও সম্পত্তি দীর্ঘদিন যাবত দেখা শোনাসহ রক্ষণাবেক্ষণ করিয়া আসিতেছেন। অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, আসামি গণ এক দলভুক্ত উগ্র, দাঙ্গাবাজ, চাঁদাবাজ, পরধন লোভী ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। শাহ শুবা চৌধুরী প্রবাসে থাকায় বিবাদীগণ তাদের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় প্রাণ নাশের হুমকি সহ আমাদের নিকট চাঁদা দাবি করিয়া আমাদেরকে খুন খারাপি করার জন্য আক্রমণ করিলে বিবাদীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন মামলা দায়ের করিলে তা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। উক্ত মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় বিবাদিগণ আমাদেরকে আমার চাচাতো ভাইদের জাগা জমিতে ধান চাষ ও ফিসারিতে মাছ চাষে বাঁধা প্রধান করিয়া আমাদের নিকট চাঁদা দাবী করি আসিতেছে। বিষয়টি এলাকা গণ্যমান্য লোকজনকে জানালে আসামি গণ আমার উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়। ২১ জানুয়ারি রাত অনুমান সাড়ে ১১ ঘটিকার সময় আমি শাহ শুবা মিয়া চৌধুরীরগংদের মালিকানা ফিসারিতে কাজে ছিলাম এ সময় লুবন মিয়াসহ তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ফিশারিতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া ধানী জমি ও ফিসারিতে মাছ চাষ করিতে হইলে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে শুবা চৌধুরীর লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে ৫-৬ জন কে আহত করে। বিবাদীগন এ সময় ফিশারিতে থাকা জাল, ঠেলাগাড়ি ও দুটি পানি সেচের মেশিনসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যা অনুমান মূল্য একলক্ষ নব্বই হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায় । যাওয়ার সময় হত্যার হুমকিসহ ভয়ভীতি প্রদান করেন। এ বিষয়ে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ রুহুল আমিন জানান আমি নিজে রাতেই ঘটনার স্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ পেয়েছি অভিযোগের আলোকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply