মুকিম উদ্দিন স্টাফ রিপোর্টার::
দীর্ঘ অনেক বছর অতিবাহিত হলেও সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার জগন্নাথপুর পৌরসভায় নির্মান হয়নি ডাম্পিং স্টেশন।পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার রাস্তার পাশে ময়লা ফেলে নোংড়া করা হচ্ছে এবং রাস্তার পাশেই গড়ে তুলেছে ময়লার ডাম্পিং স্টেশন এতে দুর্ভোগে পথচারীসহ উপজেলাবাসীর এ চিত্র পৌর শহরের নিম্ন আয়ের লোকজনের বসবাসের এলাকা থেকে শুরু করে অভিজাত এলাকায় একই অবস্থা। ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় রাস্তার পাশের ময়লা রাস্তায় এসে যানবাহন চলাচলসহ পথচারীদের চলাচলে সৃষ্টি করছে প্রতিবদ্ধকতা। ময়লা আবর্জনার আধুনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি জগন্নাথপুর পৌরসভায়।
উপজেলার এই পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় আঞ্চলিক সড়কের পাশে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। এতে প্রায় ৩শ’ ফুট স্থানজুড়ে তৈরি হচ্ছে ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধ। নিয়মিত বিকালে আগুন দেওয়ায় গভীর রাত পর্যন্ত ধোঁয়া চারিদিকে ছড়িয়ে যায়। এতে সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রীরা সমস্যায় ভোগেন। সড়কে ধোয়ার কারণে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনার আশংকা স্থানীয়দের।
সরেজমিনে দেখা যায়, সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ-আউশকান্দি-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের জগন্নাথপুর পৌরসভার প্রাায় শেষ অংশ ৭নং ওয়ার্ডের হবিবনগর নামক স্থানে ৩নং ব্রীজের নিকটবর্তী থেকে প্রায় ৩শ’ ফুট স্থান জুড়ে আবর্জনার ভাগাড়। ভাগাড়ের পলিথিন ও প্লাস্টিকে জ্বলছে আগুন। আগুনের ধোঁয়ায় ভেতর দিয়ে যাতায়াত করছে শত-শত যানবাহন। এছাড়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে টিএনটি রোড সংলগ্ন নলজুর নদীর অংশ ডাকবাংলো সেতুর ধারে, রাতের আঁধারে হেলিপেড সংলগ্ন স্থানে ডাইভারশন সেতুর ধারে নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলছে পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা।
স্থানীয়রা জানান, জগন্নাখপুর পৌরসভা প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হলেও ডাম্পিং স্টেশন নেই। ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে মহাসড়কের পাশে ও নদীতে। প্রতিদিন ট্রাক ও ভ্যানগাড়ি দিয়ে পরিচ্ছন্নকর্মীরা আঞ্চলিক মহাসড়কের হবিবনগর এলাকার ৩নং ব্রীজের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলে যায়। বিকাল হলে প্রায় ৩শ’ ফুট স্থানজুড়ে ক্ষতিকর পলিথিন ও প্লাস্টিকে আগুন দেয় পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা। এতে ধোঁয়া সৃষ্টি হয়ে স্থানীয়রা মারাত্মক সমস্যায় ভোগেন। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার লোকজন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত স্থানে যাতায়াত করেন। এছাড়া উপজেলার রানীগঞ্জ, পাইলগাঁও ও চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের একাংশের কয়েক হাজার মানুষ উপজেলা সদরে যোগাযোগ রক্ষা করেন। বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটে। যেকোনে সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ব্রীজের পাশ্ববর্তী হোসনা বেগম জানান, ঘরের সামনে পৌরসভার আবর্জনার দুর্গন্ধ। ময়লা আবর্জনায় নিয়মিত আগুন দেওয়ার কারণে ধোঁয়ায় আমাদের নাক-মুখ ও গলা জ্বলে। তাই নিয়মিত নাক-মুখ চেপে যাতায়াত করতে হয়।
সড়ক দিয়ে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিলেন অটোরিক্সা চালক সাইদুর মিয়া। তিনি বলেন, এই সড়ক দিয়ে যাত্রী বহন করতে গিয়ে ক্ষতিকর ধোঁয়া ও আবর্জনার দুর্গন্ধ প্রতিদিন সহ্য করতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা বৃদ্ধ কাদির মিয়া বলেন, ধোঁয়ার কারণে সড়কের এই স্থানে কয়েকবার ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে। ধোঁয়া না দেওয়ার জন্য আমরা অনেকবার বাধা দিয়েছি; কিন্তু কে শোনে কার কথা। ভবিষ্যতে বড় দুর্ঘটনার ভয় আছে।
জগন্নাথপুর পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.বরকত উল্লাহ বলেন, পৌরসভার নিজস্ব ডাম্পিং স্টেশন নেই। তবে একটি পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে অচিরেই ডাম্পিং স্টেশন করা হবে। মহাসড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা ও ধোঁয়া দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিব।
Leave a Reply