দেশ বাংলা ডেস্ক – গ্রীষ্ম কাল হলো ফলের ঋতু। আর এই মৌসুমের সুস্বাদু একটি ফল হল আম। আম খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ কমই আছে। অনেক সময় বেশি লাভের আশায় অপরিপক্ব আম বিক্রি করেন অনেক অসাধু ব্যবসায়ী। গাছপাকা না হওয়ায় আমগুলো পাকানো হয় কেমিক্যাল বা রাসায়নিক দিয়ে। এতে আমের স্বাদ তো থাকেই না, সেইসঙ্গে এটি শরীরের জন্য ও ক্ষতিকর। ক্যালসিয়াম কার্বাইড, অ্যাসিটিলিন গ্যাস, কার্বন-মনোক্সাইডের মতো রাসায়নিক ব্যবহার করে কাঁচা আম ও অন্যান্য কাঁচা ফল পাকানো হয়। রাসায়নিক এতটাই ক্ষতিকারক যে, ফলের মাধ্যমে তা শরীরে গেলে ত্বকের ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, লিভার ও কিডনির সমস্যা, মস্তিষ্কের ক্ষতির মতো মারাত্মক রোগ হওয়ার ঝুঁকি দেখা যায়।তাই সবসময় চেষ্টা করুন গাছ পাকা আম খাওয়ার। এ ক্ষেত্রে জেনে নিতে পারেন রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আম চেনার উপায়
* ফলের চেহারা হবে উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয় ।
* কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো আমের সবদিকটাই সমানভাবে পাকবে কিন্তু গাছ পাকা ফলের সবদিক কখনোই সমানভাবে পাকে না।
* রাসায়নিক দিয়ে পাকানো ফলে স্বাভাবিক পাকা ফলের মতো মিষ্টি গন্ধ থাকে না।
* প্রাকৃতিকভাবে পাকা ফলের চামড়ার ওপর এক ফোঁটা আয়োডিন দিলে তা গাঁঢ় নীল অথবা কালো বর্ণের হয়ে যাবে। কিন্তু ক্যামিকেল দ্বারা পাকানো ফলে আয়োডিনের রং অপরিবর্তিত থাকে।
খাওয়ার ক্ষেত্রে যা করণীয় * ফলের মৌসুমের আগে ফল কিনবেন না। কারণ, সময়ের আগে প্রাপ্ত ফলগুলি ক্যামিকেল দিয়ে পাকানো হয়ে থাকে। * খাওয়ার আগে পানিতে দুই মিনিট ভিজিয়ে রাখবেন। তারপর ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে খাবেন।
Leave a Reply