সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিলেটের এয়ারপোর্ট থানাস্থ গোয়াবাড়ী, জাহাঙ্গীর নগর এলাকার এক অসহায় মহিলার বসতবাড়ীতে জোর পূর্বক হামলা ও দখল করে বাড়ী থেকে বের করে দেওয়াসহ হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় সিলেট আদালতে মামলা মোকদ্দমার জেরে বাদী ও তার স্বজনদের প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বিবাদীরা। এ ঘটনায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের বাসিন্দা দিলোয়ার হোসেনের মেয়ে সুমনা বেগম বাদী হয়ে গত ১৪ই জুন সিলেট এয়ারপোর্ট থানাধীন লাখাওরা এলাকার মৃত খুরশিদ আলীর ছেলে মো: মুহিবুর রহমান বেলাল (৪৮) তার ছেলে আতিকুর রহমান ইমন(২২) ও গোয়াবাড়ী জাহাঙ্গীরনগর এলাকার বাসিন্দা সুমনা বেগমের টাকা আতœসাৎকারী জয়নাল মিয়া(৪০)সহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি জিডি এন্ট্রি করেন। যার সুনামগঞ্জ সদর থানা জিডি নং-৭৫৮,১৪/০৬/২০২০ইং। এছাড়াও বিবাদীদের বিরুদ্ধে সিলেট এয়ারপোর্ট থানা কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে বলে জানা যায়।
মামলা ও অভিযোগ সুত্রে জানাযায় সুমনা বেগম সিলেটের এয়ারপোর্ট থানাস্থ গোয়াবাড়ী, জাহাঙ্গীর নগর এলাকার জায়গা জমি কিনে বসত বাড়ী তৈরি করে বসবাস করে আসছিলেন স্বামী মারা যাওয়ার পর ২০১৩ সালে এখই এলার বাসিন্দা বিবাদী মো: মুহিবুর রহমান বেলাল এর সাথে সুমনা বেগমের দ্বিতীয় বিবাহ হয় । মুহিবুর রহমান বেলাল নামে সুমনাকে অবিবাহিত বলে কৌশলে বিবাহ করে বিবাহের পর বেলাল ও সুমনার গর্ভে এক ছেলে সন্তান জন্মগ্রহন করে ।
এর আগে সুমনা বেগমের প্রথম স্বামীর দিকে সুমনার আরো ৩ মেয়ে সন্তান রেখে প্রথম স্বামী মারা যাওয়ার পর সুমনার সম্পদ ও টাকার লোভে সিলেটের মহিবুর রহমান বেলাল নিজের ঘরে থাকা স্ত্রী সন্তানের কথা গোপন করে অবিবাহিত বলে সুমনা বেগমকে বিবাহ করে সে। বিষয়টি যখন সুমনা বেগম জানতে পারেন তখন থেকেই সুমনার উপর স্বামী ও তার সৎ ছেলের চলে নির্যাতনের স্ট্রীমরোলার। বার বার স্বামী ও সৎ ছেলের হাতে হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে নিজের সম্পদ এবং প্রাণে বাচাঁর জন্য সিলেটের আদালতের আশ্রয় নেন সুনামগঞ্জের মেয়ে অসহায় সুমনা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা। আদালতে মামলা করার কারনে বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে অত্যাচার ও নির্যাতনের মাত্রা বাড়ার একপর্যায়ে সুমনার বাড়ীঘর টাকা পয়সা আতœসাৎ করে বাড়ী থেকে জোর করে বের করে দেয় স্বামী,সৎ ছেলে ও তাদের স্বজনরা। বিবাদীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে প্রাণে বাঁচার জন্য সুমনা সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ইব্্রাহিমপুর গ্রামে তার বাবার বাড়ি এসে আশ্রয় নিলেও প্রতারক স্বামীর মোবাইল ফোনে প্রানে মারার হুমকি অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে বিবাদি সুমনার স্বামী মহিবুর রহমান বিলালের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পর তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং তিনি সাংবাদিকদের কোন তথ্য দিতে রাজি নন।
এ ব্যাপারে সুমনার টাকা আত্মসাধকারী বিবাদি মোঃ জয়নাল মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ৫ লাখ টাকা পাওয়ার কথা অস্বীকার করেন। কিন্তু তিনি সুমনা বেগমকে দেয়া ৫ লাখ টাকার চেকের কথা জানতে চাইলে ফোনের লাইন কেটে দেন।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ থানার অফিসার মোঃ শহিদুর রহমান জিডি দাযেরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
Leave a Reply