স্টাফ রিপোর্টার :: জগন্নাথপুর অনলাইন প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের হায়দরপুর গ্রামের মৃত হাজি নুরুল হকের মেয়ে ও জগন্নাথপুর উপজেলার সামাট গ্রামের ছমিরুল হকের স্ত্রী হাছনা বেগম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান, আমার সৎ ভাই লন্ডন প্রবাসী জমিরুল হক উরফে শুকুর আলী ও তার স্ত্রী জোবায়দা হক আমার পৈত্রিক সম্পত্তি দখলে নিতে প্রায় ১৯ বছর পূর্বে আমার ভাই সিরাজুল হক কে মানসিক রোগী সাজিয়ে চিকিৎসার নাম করে সিলেট শহরের অনামিকা-এ-৬৭/৩, শাহী ঈদগাহ নিজ বাসায় রেখে তাকে হত্যা করে। আমার বোন রোকসানাকেও শুকুর আলী মানসিক রোগী বানিয়ে রেখেছে। এখন একমাত্র টাগের্ট আমি, আমার মা ও আমার স্বামীসহ সন্তানদরে খুন করতে পারলেই শুকুর আলী আমার পৈত্রিক সম্পত্তি দখলে নিতে পারবে। প্রায় ১৪ বছর পূর্বে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক আমার চাচাতো ভাই জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের সামাট গ্রামের মৃত সামছুল হকের ছেলে ছমিরুল হকের সাথে আমার বিবাহ হয়। বিবাহের পর আমার সৎ ভাই লন্ডন প্রবাসী জমিরুল হক উরফে শুকুর আলী ও ভাবি জুবেদা হকের কথা মতে আমার মা হাওয়ারুন বেগমকে দেখা শুনা করার জন্য আমার স্বামী ছমিরুল হক তার নিজের বাড়ি ত্যাগ করে আমার পিত্রালয়ে বসবাস শুরু করেন। তখন আমার লন্ডন প্রবাসী ভাই জমিরুল হক উরফে শুকুর আলী ও ভাবী জুবেদা হক আমাদের পরিবারের বরন পোষনের সমস্ত খরচ বহনের আশ্বাস দিলেও কোন রকম খরচ বহন করেন নাই। বাধ্য হয়ে আমার স্বামী সি এন জি চালিয়ে পরিবারের বরণ পোষন চালাচ্ছেন। লন্ডন প্রবাসী ভাই জমিরুল হক উরফে শুকুর আলীর নিকট পরিবারের বরন-পোষনের খরচ দাবী করলে তাতে বিরোধ দেখা দেয়। মতবিরোধের পর থেকে লন্ডন প্রবাসী শুকুর আলী ও তার স্ত্রী জুবেদা হকরে ভাড়াটিয়া হায়দরপুর গ্রামের মৃত তোরন মিয়ার ছেলে রফু মিয়া, সফু মিয়া, মৃত কদরিছ আলীর ছেলে আকিল মিয়া সহ অন্যান্য লোকজন দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উল্লেখ করেন, আমার পৈত্রিক সম্পত্তি দখলে নিতে আমি, আমার মা ও আমার স্বামীকে জড়িয়ে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার মাটিয়াপুর গ্রামের সন্ত্রাসী সুলতান মিয়ার স্ত্রী নুরেছা বেগমকে বাদি করে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানী করে যাচ্ছে। সি আর মামলা নং ১৪৯/২০১৯ ও বিবিধ মোকাদ্দমা নং ৪৭/২০১৯ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ছাতক, সুনামগঞ্জ। এছাড়াও জাওয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে আমাদের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে শুকুর আলী বাহিনী। শুকুর আলী বাহিনীর প্রধান রফু মিয়া, সুলতান মিয়া সহ তার সাঙ্গ পাঙ্গদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে আমি সহ আমার পরিবারের সদস্যদের জীবন দুর্বিস্ব হয়ে উঠেছে। লন্ডন প্রবাসী জমিরুল হক উরফে শুকুর আলী বাহিনীর প্রধান রফু মিয়া আমাদেরকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করতে মিথ্যা অভিযোগ তুলে এবং আমাদের ঘরে ৩টি কক্ষ থাকলেও ২টি কক্ষ লন্ডন প্রবাসী জমিরুল হক উরফে শুকুর আলীর নির্দেশে তার ক্যাডার বাহিনী তালাবদ্ধ করে রাখে। ১টি কক্ষে আমার ৩ ছেলে, স্বামী, বৃদ্ধ মা ও মানসিক প্রতিবন্ধী বোন রোকসানাকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। অন্যান্য কক্ষে রফু মিয়া ও তার লোকজন অবৈধ কার্যকলাপ চালায়। যার অপবাদ আমাদের উপর চালিয়ে দিতে নানা ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমার মা হাওরুন বেগম ও বোন রোকসানা বেগমকে আমার সৎ ভাই লন্ডন প্রবাসী জমিরুল হক উরফে শুকুর আলী বরণ পোষন না করে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। যার কারনে আমার মা ও বোন অনাহারে দিনাতিপাত করছেন। আমার স্বামী মানবিক দিক বিবেচনা করে শত কষ্টের মাঝেও আমার মা ও বোনের বরন পোষন চালিয়ে নিচ্ছেন। প্রবাসী জমিরুল হক উরফে শুকুর আলী তার আপন বোন নুরেছা বেগমকে দিয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়েরের পরও ক্রান্ত হয়নি। বরং গত ১৬/০৩/২০২০ইং তারিখে মৃত তোরন মিয়ার পুত্র রফু মিয়া, সফু মিয়া, মৃত কদরিছ আলীর ছেলে আকিল মিয়া কৌশলে আমাকে মোবাইল ফোনে রফু মিয়ার বাড়িতে ডেকে নিয়ে আমার পরিহিত শাড়ি দ্বারা আমার গলায় শ্বাসরুদ্ধ করে রেখে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে খুন করার হুমকি দিয়ে সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয়। এ ঘটনায় আমি নিজে বাদি হয়ে আমল গ্রহনকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ছাতক সুনামগঞ্জ সি আর মোকাদ্দমা নং ৮৪/২০২০ইং দায়ের করি। যার কপি সংযুক্ত। এতে ধারনা হয় আমার কাছ থেকে নেয়া স্টাম্পের মাধ্যমে আমার পৈত্রিক সম্পতি দখল সহ মূল্যবান জামানত সৃষ্টি করতে পারে। লন্ডন প্রবাসী জমিরুল হক উরফে শুকুর আলী মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার স্বামীকে ফাসাঁনোর পাশাপাশি তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বাড়িঘর ছাড়া সহ আমাদের যে কোন ক্ষতি সাধন ও খুন খারাপীর চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। হাছনা বেগম প্রবাসী শুকুর আলীর বাহিনী রফু চক্রের হাত থেকে তার পরিবারের সদস্যদের জান মালের নিরাপত্তায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হায়দরপুর গ্রামের হাজী মো: আব্দুর রশিদ, হুশিয়ার হায়দার, মো: ইলিয়াছ হোসেন, আবুল মিয়া, ছমির, হাওরুন বেগম, রোকসানা বেগম প্রমূখ।
Leave a Reply