মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি,
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের পল্লীতে প্রতিপক্ষের হামলায় দিনমজুর বসর আলী সহ ৩জন আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে আহত ব্যাক্তির স্ত্রী শাহিনা বেগম বাদি হয়ে জগন্নাথপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লাকাবাসী ও অভিযোগ পত্র থেকে জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের খাসিলা গ্রামের মৃত মোঃ ধন মিয়ার ছেলে দিনমজুর মোঃ বসর আলী (৪৫) ও তাঁর আপন সৎভাই একই গ্রামের মোঃ আইয়ূব আলী(৩৫) এর মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে গ্রাম্য বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলিয়া আসিতেছে । গত ১৭ ই অক্টোবর রোজ শনিবার বিকাল প্রায় ২ ঘটিকার সময় বসর আলীর বসত বাড়ীর আঙ্গিনার ওপর দিয়ে আইয়ূব আলী গরু-বাছুর নিতে যেতে চাইলে বসর আলী এর বড় মেয়ে রিপা বেগম নিষেধ করে। এতে আইয়ুব আলী ও ছবুর আলী ক্ষিপ্ত হয়ে রিপা বেগম ও তাঁর বাবা বসর আলী কে অশালীন ভাষায় গালি-গালাজ করে এতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে আইয়ুব আলী ও ছবুর আলী দেশীয় অস্ত্র – স্বস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বসর আলীর বাড়ীতে এসে হামলা চালায়। এতে আইয়ুব আলীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দিনমজুর বসর আলী ডান হাতে গুরুতর হাড় বাঙ্গা জখম হয় । এবং রিপা বেগম (২৫) ও আলিমা বেগম(১৩) আহত হন। তাদের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় বসর আলী কে উদ্ধার করে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তিনি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অন্যান্য আহতরা স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। থানায় অভিযোগকারী শাহিনা বেগম বলেন, আইয়ুব আলী ও ছবুর আলীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বিরোধ চলে আসছে। আইয়ুব আলী রামদা দিয়ে আমার স্বামী বসর আলীর ডান হাতে আঘাত করেছে হাতের রগ কেটে গেছে এবং ছবুর আলী লাঠি দিয়ে আঘাত করায় সারা শরীরে ফুলা জখম রয়েছে। আঘাতগ্রস্থ হাত দিয়ে আর কোনো কাজকর্ম করতে পারবেননা বলে ডাঃ জানিয়েছেন। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে আজ (২০ শে অক্টোবর) জগন্নাথপুর থানায় লিখিত আবেদন করেছি। আহত বসর আলী বলেন, আমাকে প্রানে মারার উদ্দেশ্যে আইয়ুব আলী রামদা দিয়ে মাথায় আঘাত করতে চাইলে আমি হাত দিয়ে আঘাত ফেরানোর চেষ্টা করি এতে রামদার আঘাতে আমার হাতের মাংস ও রগ কেটে গেছে। এই হাতে কোনো কিছু করতে পারবনা বলে ডাঃ জানিয়েছেন। আমি দিনমজুর লোক সুষ্ঠু বিচার চাই। এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply