সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে বিচারপ্রার্থী হয়ে ন্যায় বিচার পেল দিরাই উপজেলার ৪নং চরনাচর ইউনিয়নের লৌলারচর গ্রামের বাসিন্দা দরখাস্থকারী মো: মোক্তার হোসেন। ন্যায় বিচার পেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে গত ২৬ অক্টোবর আপোষ মিমাংসার একটি আবেদন দেন তিনি। জানাযায় চরনাচর ইউনিয়নের লৌলাচর গ্রামের বাসিন্দা মৃত মৌলভী রুহুল আমিনের ছেলে মোক্তার হোসেন দীর্ঘদিন যাবত তার আপন ভাই ফারুক মিয়া, তহুর মিয়া, জহুরুল ইসলাম গংদের সাথে জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে জটিলতায় মানবেতর জীবন যাপন ও মানসিক হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন। অবশেষে ন্যায় বিচার চেয়ে গত ১৩ অক্টোবর ২০২০ইং তারিখে ভাইদের কবল থেকে নিজের জায়গা উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক মো: আব্দুল আহাদের হস্তক্ষেপে গত ২১শে অক্টোবর সকাল ১০টায় দরখাস্থকারী মো: মোক্তার হোসেনের বাড়িতে স্থানীয় চেয়ারম্যান রতন কুমার দাস তালুকদার, সাবেক চেয়ারম্যান জগদীশ সামান্তসহ গ্রামের গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিতিতে সরকারী সার্ভেয়ার এবং বাড়ীর মুল মালিক নুরুল ইসলাম খান, বর্তমান মেম্বার প্রদীপ ভৌমিক,সাবেক রুপমিয়া,আলিপ মিয়া তালুকদার,কদ্দুস মিয়া, কামাল মেম্বার, রিয়াজ খান, এলাকার শালিশ ব্যক্তিত্ব সিরাজ মিয়া, গনি মিয়ার উপস্থিতিতে মোক্তার হোসেনের খরিদদা ভিটা রকম ভূমি ভাগ করে দেওয়া হয়। বাড়ির সামনে সরকারী গোপাট পানির ড্রেন সহ ১৮ফুট বাদে দরখাস্থকারী মোক্তার হোসেন ও তার ভাইদের মধ্যে খরিদা সাড়ে ২২ শতাংশ জায়গা তাদের মধ্যে ভাগাভাগি করে দেওয়া হয়। যার মধ্যে ফারুক পেয়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ, দরখাস্থকারী মোক্তার হোসেন পেয়েছে ৫ শতাংশ, তহুর মিয়া পেয়েছে ৫ শতাংশ, জহুরুল পেয়েছে ৫ শতাংশ,পিছনে ৪৬ হাত ভূমির মধ্যে ৪৪ হাত ভ’মি,সামনে ৩৮হাত ভ’মি,তার কিছু সামনে ৩২ হাত ভ’মি, লম্বা ৬৫ হাত ভ’মি, সকলের পক্ষে পিছনে সাড়ে ১১ হাতের মধ্যে ১১হাত সামনে সাড়ে ৯হাত ভ’মি। যা উভয় পক্ষ সন্তষ্টি হয়ে বিষয়টি নিস্পত্তি হয়। এজন্য জেলা প্রশাসকের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সকলের যৌথ স্বাক্ষরে একটি নিস্পত্তির আবেদন জেলা প্রশাসক বরাবরে দাখিল করা হয়েছে।
Leave a Reply