ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি::
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ৮ নং নন্দুয়ার ইউনিয়নের সন্ধারই গ্রামে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে ও পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্কুলছাত্রী শিমু আক্তার উপজেলার বি এন বালিকা উচ্চ বিদ্যায়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যায়ন করেন।
জানা যায়, স্থানীয় লিপি, চিহারী ও মা রুমা খাতুন, পিতা রফিকুল ইসলামসহ কাজি অফিসের লোকজন মিলে স্কুলছাত্রী শিমুর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড়পূর্বক কাজী ইব্রাহীমের সাথে আতাত করে বিয়ে দেয় উপজেলার কেউটান এলাকার মাসুমের সঙ্গে। বিয়ের সময় কথা ছিলো ২ বছর পর শিমুকে স্বামীর গৃহে পাঠানো হবে। কিন্তু এক মাস যেতে না যেতেই স্বামীর গৃহে যাওয়ার জন্য তার পরিবার থেকে চাপ দেয়। কিন্তু শিমু এখন যাবে না বলে তার মা-বাবা মারধর করে শুক্রবার (৬ নভেম্বর) স্বামীর বাড়িতে পাঠালে সেখান থেকে পালিয়ে শিমু থানার আশ্রয় নেয়।
কিন্তু স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী থানা থেকে স্কুলছাত্রী শিমুকে বের করে এনে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে টাকার বিনিময়ে আপোষ করে শিমুকে তুলে দেয় পিতার রফিকুলের হাতে।
এ ব্যাপারে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল লতিফ শেখ বলেন, বাল্য বিয়ে ব্যাপারে থানায় কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও) মৌসুমী আফরিদা বলেন, আমি জানিনা, মেয়েটাকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিন।
Leave a Reply