নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইলে ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্বার্থান্বেষী মহলের অপপ্রচার। নড়াইলের সদর উপজেলার ১২নং বিছালী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নৌকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান এস এম আনিসুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে একের পর এক মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এস এম আনিসুল ইসলাম। গত বছরের (৮নভেম্বর) ২০২০ সালে কিছু কুচক্রী মহল সাংবাদিকদের ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করায় এবং চলতি বছরের (২৪-২৫-২৬মার্চ) শুক্রবার পুনরায় সংবাদটি আবারো শেয়ার হওয়ায় চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলামসহ ইউনিয়ন বাসীর নজরে আসে।এমন মিথ্যা, ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা জানান ইউনিয়ন বাসি। এদিকে, মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার হয় যে, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, উন্নয়ন মুলক কাজের অর্থ আত্মসাৎ সহ চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলামের পিতা মরহুম এস এম কোবাদ হোসেন এর নামে অহেতুক মিথ্যা রাজাকার খেতাব দিয়ে চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিলের জন্য এবং তার সন্মান ক্ষুন্ন করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি কুচক্রী মহল।মির্জাপুর গ্রামে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বা জানা যায়, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী গ্রুপের পর্নোগ্রাফি ব্যবসায়ী বেনজীর সাংবাদিকদের অসত্য তথ্য দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করিয়ে আনিসুল ইসলামকে ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতিক যেন না পায় এজন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। যার জন্য আনিসুল ইসলামের সন্মান নষ্ট করতে ব্যস্ত। এদিকে মির্জাপুর গ্রামের বীর মুক্তীযোদ্ধা গাজী আব্দুর রহমান খোকা, কাজি সাইদুর রহমান, কাজি তবিবুর রহমানসহ তার স্ত্রী আমেনা বেগম সাংবাদিকদের জানান, বর্তমান বিছালি ইউপি চেয়ারম্যানের বাবা এস এম কোবাদ হোসেন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মির্জাপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের সকল প্রকার রসদ সরবরাহ করতেন এবং তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সকল প্রকার সহযোগী হিসাবে কাজ করতেন এস এম কোবাদ হোসেন। মুক্তিযোদ্ধারা আরো জানান, এস এম কোবাদ হোসেন বিগত কিছুদিন আগে মারা গেছেন এবং কোবাদ হোসেনের ছেলে আনিসুল ইসলাম বর্তমান বিছালী ইউনিয়নের চেয়াম্যানন হিসাবে সুনামের সাথে ইউনিয়ন বাসির সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সুখে দুখে চলেন বলে কিছু বিএনপি জামাত ও রাজাকার পন্থি অপ-রাজনিতী বিদরা আনিসুল ইসলামের সন্মান ক্ষুন্ন করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। বিছালি ইউনিয়ন ঘুরে জানা যায়, বর্তমান চেয়ারম্যান নৌকার মাঝি আনিসুল ইসলাম বিগত করোনা কালীন সময়ে বিছালি ইউনিয়নের অসহায় দিন মুজুর মধ্যবিত্ত পরিবারের মধ্য বাড়ি বাড়ি সরকারী ত্রান সহ নিজ অর্থ দিয়ে চাল, ডাল, আলু, তেল, সাবান সহ সাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী প্রতিনিয়ত বিতরন করেন। এদিকে, স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাথে আলাপ কালে জানা যায়, বর্তমান চেয়াম্যান একজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বান্ধব চেয়ারম্যান। আনিসুল ইসলাম চেয়ারম্যান হওয়ার পরে এ পর্যন্ত কোন সংখ্যলঘু পরিবার কোন সন্ত্রাসীকে কোন প্রকার চাঁদা দিতে হয়নি বলেও জানান।কিন্তু বিগত দিনের চেয়ারম্যানের আমলে এসব সংখ্যালঘু পরিবারদের উপরে হামলা মামলা সহ বিভিন্ন ভাবে চাঁদা দিতে বাধ্য করাসহ সংখ্যালঘু পরিবারের মধ্যে হাঙ্গা-দাঙ্গামা চালিয়ে শালিশ করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ১২নং বিছালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নৌকার মাঝি এস এম আনিসুল ইসলাম বলেন, আমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মানস কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নীতি ও আদর্শে অনুপ্রণীত হয়ে তার নেতৃত্বে আওয়ামী-লীগ সরকারের হাতকে শক্তিশালী করতে আমি বদ্ধপরিকর। তিনি আরো বলেন, আমি কেমন মানুষ বা কেমন চেয়াম্যান সেটা ঠিক করবে আমার ইউনিয়ন বাসি। আমি আমার রাজনীতি করি অসহায় গরিবদের জন্য, আমি চেয়ারম্যান হয়েছি ইউনিয়ন বাসীর দাবি আদায়ের জন্য। আমার ইউনিয়ন বাসীর সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা সরকারের কাছ থেকে এনে দেয়ার জন্য আমি এ চেয়ারে বসেছি। তিনি সাংবাদিকদের আরো জানান, ভালো কাজ করলে আমার চেয়ারম্যানের চেয়ার কেউ নিতে পরবে না বা দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতীক আমি ছাড়া কেউ পাবে না বলে আমার নামে বিভিন্ন ভাবে সাংবাদিকদের ভুল তথ্যদিয়ে হয়রানী মুলক মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করিয়ে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করতে বিভিন্ন অপ-কৌশল অবলম্বন করছে।আমি জনগন নিয়ে রাজনীতি করি। জনগন আমাকে ভালোবাসলে কোন কুচক্রী মহল আমার কিছু করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ বলেও তিনি জানান। এছাড়াও কুচক্রীমহল স্থানীয় সামাজিক ব্যক্তিত্ব শেখ আরশীদ, স্থানীয় মেম্বার শেখ আজিম এবং ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুন্সি ইমরান এর বিরুদ্ধেও অপপ্রচার চালায়, যা প্রতিহিংসা ও আওয়ামী লীগ বিরোধিতা ছাড়া কিছু নয়। সকলেই এসব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
Leave a Reply