মোঃ মুকিম উদ্দিন::
জগন্নাথপুরের শিশু আবু সাইদ বিভাগীয় শহর সিলেট নগরীতে খুন হওয়া হত্যা মামলায় জড়িত তিন আসামীর ফাঁসির রায় হাইকোর্ট বহাল রেখেছেন।
জানাযায়, আবু সাইদ সিলেটের শাহ মীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। নিহত আবু সাইদ সিলেটের রায় নগর দর্জিবন্দ বসুন্ধরা ৭৪ নম্বর বসার আব্দুল মতিনের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের খাশিলা এলাকায়।
আজ ২২ জুন মঙ্গলবার ডেথ রেফারেন্স ও আসামীদের দায়েরকৃত আপীল মামলা খারিজ করে রায় প্রদান করেন বিচারপতি শহিদুল করিম ও বিচারপতি আখতারুজ্জামান এর ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ।
তিন আসামী হলেন সিলেট জেলা ওলামালীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব, পুলিশের সোর্স আতাউর রহমান গেদা ও সিলেট বিমান বন্দর থানার বহিস্কৃত পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুল।
এ মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা ও আইনজীবী মোঃ সিদ্দিকুর রহমান।
বিগত ১১ মার্চ ১০১৫ সালে সিলেটের শাহ মীর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থতে পড়ুয়া ছাত্র আবু সাইদ অপহৃত হয়। অপহরনের ৩ দিন পর ১৪ মার্চ সিলেটের ঝর্নারপাড় সোনাতলা এলাকায় বিমান বন্দর থানার পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের বাসার ছাদ থেকে শিশু আবু সাইদ এর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঐবছর ২৩ সেপ্টেম্বর মামলায় ৪ জনকে অভিযুক্ত করে সিলেট কোতোয়ালী থানার তখনকার সময়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তদন্ত মোশাররফ হোসেন।চার্জশীটে অভিযুক্ত আসামী সিলেট জেলা ওলামালীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব, পুলিশের সোর্স আতাউর রহমান গেদা ও সিলেট বিমান বন্দর থানার বহিস্কৃত পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুল ও ওলামালীগ নেতা মাহিব হোসেন মাসুম।
বিচার শেষে একই বছরের ৩০ নভেম্বর আসামী মাহিব হোসেন মাসুমকে অত্র মামলা থেকে খালাস দিয়ে অন্য ৩ আসামীকে মৃত্যুদন্ড দেন সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক আব্দু রশিদ। পরে মৃত্যুদন্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। অন্য দিকে মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত ৩ আসামী আপীল করে।
Leave a Reply