জগন্নাথপুর প্রতিনিধ:-
ভবন ও শিক্ষক সংকটে স্থবির জগন্নাথপুর উপজেলার আশার কান্দি ইউনিয়নের কালম্বরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিা কার্যক্রম। বিদ্যালয়ে ১২৯ জন শিার্থীর বিপরিতে মাত্র ১ জন শিক দিয়ে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। সহকারী শিকিা শিমতা রানী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক হিসেবে দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ভবনের সংকটের বিষয়ে বার বার ঊর্দ্ধতন কর্তৃপকে জানানোর পরও ভূমি সংকটের কারনে কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না।সরজমিনে বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদর থেকে ২০ কিমি দ‚রে ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত কালম্বরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১০ শতক ভূমির উপর অবস্থিত।
বিদ্যালয়ে একটি টিন সেড ভবনে ৪ টি কক্ষের মধ্যে ৩টি কক্ষে শিার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। ১ টি কক্ষকে অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু কর্ণার স্থাপন করতে ব্যবহার করা হয়েছে পঞ্চম শ্রেনীর কাশ রুম। প্রয়োজনীয় ভবন না থাকায় প্রথম শ্রেনীর কক্ষে এক সাথে প্রাক প্রাথমিক শাখার কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। এতে করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহনে নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়। এক জন শিক্ষক ডেপুটিশনে নিয়োগ দেওয়ায় দুইজন শিক দিয়েই আপাতত পাঠদান চলছে।বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিকিা শিমতা রাণী বলেন, ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পাঠদান সহ অফিসিয়াল সকল কার্যক্রম আমাকেই সম্পন্ন করতে হচ্ছে। স্কুল কমিটির সভাপতি মোঃ মাছুম আলী জানান আমাদের বিদ্যালয়ের ভূমি সংকটের কারনে ভবনের নির্মান করা যাচ্ছেনা। স্কুলের এই সমস্যার কথা এক লন্ডন প্রবাসীকে জানানোর পর তিনি সেচ্ছায় তার মালিকানা ভূমি স্কুলের জন্য দান করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আমরা স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ভূমি দানের বিষয় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরীর কাজ করছি। স্কুলে ভূমি দান করার ব্যাপারে আমরা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছি। কালম্বরপুর গ্রামের বাসিন্ধা বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী মোঃ মহিবুর রহমান জানান স্কুলের ভূমির সম্যার বিষয় আমার নিকট আত্মীয় যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাজি মো: ওয়াছিদ খান ও তার স্ত্রী মোছা: ফাতেমা বেগমের সাথে আলোচনা করলে তাদের মালিকানা ভূমি স্কুলের নামে দানপত্র করার ব্যবস্থা করতে আমার নামে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রদান করেন। ভূমিটি স্কুলের নামে দানপত্র করে দিতে আমি সরকার ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিা অফিসার জয়নাল আবদীন বলেন, ভবন ও শিক সংকটের বিষয়টি ঊর্দ্ধতন কর্তৃপকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান হবে। আর কেউ যদি সেচ্ছায় স্কুলের নামে ভূমি দান করতে চায় তা হলে আমার পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
Leave a Reply