আশাহীদ আলী আশা,নবীগঞ্জ থেকেঃ-
নবীগঞ্জের কামাল উদ্দিন হত্যা কান্ডের মুল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। প্রতিপক্ষকে ফাসাঁতে পরিকল্পিত ভাবে আপন শ্যালক কামাল উদ্দিনকে হত্যা করে দুলা ভাই মাখন মিয়া ও তার লোকজন।। বৃহস্পতিবার বিকালে নবীগঞ্জ থানায় এক প্রেসব্রিফিংয়ে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের তথ্য জানান বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, বিগত ৬ই নভেম্বর বানিয়াচং উপজেলার উজিরপুর এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হাতে খুন হয় বজলু মিয়ার ছেলে ফজল মিয়া। এ ঘটনায় মাখন মিয়াসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে ১০ই নভেম্বর বানিয়াচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের পরিবার। এই হত্যা মামলা দায়ের করার পর বেকায়দায় পরে যায় মাখন মিয়াসহ আসামীরা। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষকে ফাসাঁতে পরিকল্পনা করে মাখন মিয়া। মাখন মিয়ার আশ্রয়ে তার বাড়িতে থাকা শ্যালক কামাল উদ্দিনকে হত্যা করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিন্ধান্ত মোতাবেক ১৬ই ডিসেম্বর রাতে মাছ শিকারের কথা বলে কামাল উদ্দিনকে হাওরে পাঠিয়ে হত্যার পরিকল্পনা নেয় ভগ্নিপতি মাখন মিয়া । এক পর্যায়ে মাখন, ফারুক , অনুসহ তাদের লোকজন উপর্যুপুরি আঘাত করে কামালকে । এ সময় হামলাকারীরাই প্রতিপক্ষের লোকজন কামাল উদ্দিনকে মেরে পালিয়ে যাচ্ছে বলে চিৎকার করে । পরে স্থানীয় লোকজন কামালকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আধুনিক হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার ৩ দিন পর নিহতের বড় বোন এবং হত্যা কান্ডের প্রধান পরিকল্পনাকারী মাখনের স্ত্রী নবীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনা তদন্তে মাঠে নেমে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য উদঘাটন করে। এদিকে ঘটনার পরপরই নিহতের ভগ্নিপতি মাখন, ফারুক শরীফ, লেবুসহ তার স্বজনরা গাঁঢাকা দেয় এবং মামলার বিষয়ে কোন সহযোগিতা না করায় পুলিশের সন্দেহ হয়। এ ঘটনায় গত ৭ই জানুযারী সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার গুচ্ছগ্রাম থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফারুক মিয়াকে আটক করে । আটককৃত ফারুক মিয়া গত ৮ই জানুয়ারী বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দির প্রেক্ষিতে বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী প্রেসব্রিফিং করেন।
Leave a Reply