(পর্ব-১)
স্টাফ রিপোর্টার: সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের নাদামপুর গ্রামে দুই সতিনের ঝগড়া থামাতে গিয়ে নিহত হওয়া রোয়াব আলীর দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মে ) ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়ি নাদামপুরে রোয়াব আলীর লাশ পৌছলে সেখানে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা ঘটে। এলাকার সহজ সরল সদালাপী রোয়াব আলীকে এক নজর দেখতে তার বাড়িতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে শত শত নারী-পুরুষ ভীড় জমায়। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় মরহুমের নামাজের জানাযা শেষে পাঞ্চায়েতী কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। রোয়াব আলী মৃত্যুর ৬দিন পেরিয়ে গেলেও মামলা না হওয়ায় তার মৃত্যুর রহস্য নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে নাদামপুর গ্রাম ঘুরে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাযায়, নাদামপুর গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে নাসির উদ্দিনের রয়েছে ৩ স্ত্রী। নাসিরের ১ম স্ত্রী ফরিনা বেগম ও ৩য় স্ত্রী স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মমিনা বেগমকে নিয়ে চলছে তার জীবন সংসার। ১ম স্ত্রী ফরিনা বেগমের ঔরসে তান্নি ও জান্নাত নামে ২ মেয়ে এবং ৩য় স্ত্রী মমিনা বেগমের ঔরসে ইয়াছিন নামের ৪মাসের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মমিনা বেগমকে বিয়ে করার পর থেকে নাসিরের পরিবারে কলোহ দেখা দেয় । নাসির উদ্দিন তার স্ত্রী দের কলোহ নিস্পত্তির লক্ষ্যে ১ম স্ত্রী ফরিনা বেগমকে সিলেটে বাসা ভাড়া করে থাকার ব্যবস্থা করে দেন এবং ৩য় স্ত্রী মমিনা বেগমকে নিয়ে নাদামপুরে বসবাস করে আসছিলেন। স্বামী নাসিরের অনুরোধে ফরিনা বেগম ঈদ উদযাপনে নাদামপুর গ্রামে আসেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নাসিরের পরিবারের একাধিক সদস্য জানান, ২৭ মে বুধবার রাতে নাসিরের স্ত্রী ফরিনা বেগম ও মমিনা বেগমের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে নাসিরের ৩য় স্ত্রী মমিনা বেগম তার ১ম স্ত্রী ফরিনা বেগমকে দা’ দিয়ে আঘাত করতে চাইলে নাসিরের বড় ভাই রোয়াব আলী এতে বাধা দিয়ে মমিনার হাতে থাকা দা’ কেঁড়ে নেয়ার চেষ্টার এক পর্যায়ে রোয়াব আলী হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এসময় রোয়াব আলী মাটিতে লুটে পড়ে ছটপট করতে থাকেন। তার আর্তচিৎকারে এগিয়ে এসে নাসিরের স্বজন জামাল মিয়া, বিল্লাল মিয়া, রুনু মিয়া ও সুজন মিয়া সহ এলাকার লোকজন জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোয়াব আলীকে মৃত ঘোষনা করেন। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে পাঞ্চায়েতী কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
Leave a Reply