জগন্নাথপুর অফিস: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে উপজেলার কুশিয়ারা, নলজুর, রতœা ও ডাউকা নদী সহ বিভিন্ন হাওর এর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের তেলিকোনা গ্রামে বন্যায় প্লাবিত হয়ে যায়। এতে প্রায় ৪০ টি পরিবারের মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে গ্রামের অধিকাংশ রাস্তা-ঘাট। অনেকেই উঁচু এলাকায় তাদের আত্মীয় স্বজনদের বাড়ীতে আশ্রয় নেন। গ্রামের মুক্তার আলী, বদর উদ্দিন, ঝলাই মিয়া, আব্দুল বারিক,সামছু মিয়া, জোবায়ের মিয়া, আতাউর মিয়া, শাহিন মিয়া, আমিনুল হক, নুরুল হক, তোফায়েল, খায়রুজ্জামান, ছরুজ্জামান, আব্দুর রশিদ, আবুল হাসান, আব্দুল হাই, সাজিদ আলী, রুয়েল মিয়ার পরিবারসহ ১৮টি পরিবার স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তলেকিোনা ইসলাময়িা মাদ্রাসায় আশ্রয় নেয়। গৃহ পালিত পশু, পাখি, ও পরিবার পরিজন নিয়ে মাদ্রাসার ভেতরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এছাড়া ও রাকিব উদ্দিন, জমশেদ আলী, দুলাল মিয়া, জইন উদ্দিন, শরিফ উদ্দিন, আব্দুল হেকিম, নিজাম উদ্দিন, মতছির আলীর পরিবার সহ আর ১৫/২০ টি পরিবার অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র মাদ্রাসায় না আসলে ও নিজ বাড়িতে পানি বন্ধি হয়ে রয়েছে। এই সব পানি বন্ধী মানুষের হাতে কাজ নেই, পেটে ভাত নেই বলে অনেকেই জানান। আজ রবিবার (০৫জুলাই) সরেজমিনে তেলিকোনা ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টিপাত না হওয়ায় তেলিকোনা এলাকার বন্যার পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। পানির স্রোতে কাঁচা বাড়ী ঘরের ধ্বসে পড়ছে। পানি বন্ধী অসহায় বেকার পরিবার গুলো ত্রাণ সামগ্রীর আশায় অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। তেলিকোনা জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লী এলাহী বক্স, মাস্টার কুতুব উদ্দিন, মো: আবুল কাশেম, মো: আনোয়ার আলী, ক্বারী আব্দুশ শহিদ, সিরাজ আলী, মো: আবু মিয়া, মো: আব্দুস সামাদ, মো: ছইদুর রহমান, হাফিজ মাওলানা আবিদুর রহমান, মাহবুব আলম, হাফিজ জাবির আহমদ জানান, আমাদের গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজ, মৎস্য শিকার ও বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসার সাথে জড়িত মহামারি করোনা ভাইরাস ও আকস্মিক বন্যার কারনে বেকার হয়ে ঐ এলাকার লোকজন অনাহারে অর্ধহারে জীবন যাপন করছে। এখনো এলাকার পানি বন্ধী অসহায় মানুষ পায়নি ত্রাণ সামগ্রী। এছাড়াও আবুল কাশেম জানান, বন্যায় আমার রাইসমিলে থাকা প্রায় অাড়াইশত মন ধান পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। এ ব্যাপারে কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল হাশিম জানান, আজ ৫জুলাই রবিবার বন্যায় পানি বন্ধী পরিবার গুলোর মধ্যে ত্রান বিতরনের জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে সরকারী বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply