সজিব রশিদ চৌধুরীঃ সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জের টাইলা গ্রামে বসবাসরত স্বনামধন্য মরমি কবি সাধক ধামাইলের বিশিষ্টজন প্রতাপ রঞ্জনের বাড়ির অবস্থা একেবারেই খারাপ হয়ে পড়েছে। প্রতাপ রঞ্জন কবির পাশাপাশি একজন সমাজের শ্রেষ্ট যোদ্ধাও বটে,
সামান্য লেখাপড়া মাত্র ক্লাস টু আর দারিদ্র্যতার সাথে জীবন জ্ঞাপন করেও এই ক্লান্তির সাথেই রাতের বেলায় লিখেছেন শত শত গান। বিশেষ করে ধামাইলের বিশিষ্টজন হয়ে উঠেন তিনি। তার লিখা গান সবাই গাইলেও চিনে না অনেকেই। বিশেষ করে নিজ গ্রামের মানুষের মাঝেই নেই কোন চেতনা। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ তার এই মাহাত্ম্য জানে না।
তার ছেলেরাই ছিলেন অজ্ঞাত। প্রতাপ রঞ্জন তালুকদারের মৃত্যুর তিন বছর পর তার ছেলে প্রসেন তালুকদার অন্যদের মাধ্যমে কিছু কিছু জানতে পারেন বাবার রেখে যাওয়া মাহাত্ন্যের কথা। গত ২২ জুলাই ১২ বছর পূর্ন হল তার মৃত্যুর। অথচ ২০১৮ সালে প্রথম দিবস পালিত হয়। তার লিখা সকল গান দিয়ে বই বানানোর জন্য প্রথম আলোর একজন সাংবাদিকের কাছে হস্তান্তর করেন তার ছেলে প্রসেন তালুকদার।
যদিও এখনো তার কোনো প্রকার কাজ সম্পন্ন হয়নি, তবে প্রসেন তালুকদার আশাবাদী একদিন নিশ্চয়ই তার বাবা সবার মাঝে পরিচিতি লাভ করবেন।
Leave a Reply