দিরাই প্রতিনিধি:: সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ৮নং তাড়ল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুসের অনিয়ম -দুর্নীতি,স্বজনপ্রীতি ও বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ’র বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিষদের ইউ/পি সদস্য সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গগন তাদের মানববন্ধনে সংহতি পোষন করেন। সোমবার বেলা ১২ ঘটিকায় পৌরসভার থানা পয়েন্টে শতাধিক নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে এ মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে।৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য লাল মিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন,উপজেলা কৃষকলীগের আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম, ইউপি সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, শেখ ফরিদ,রাশেদ মিয়া,সাবেক ইউপি সদস্য কবির মিয়া,সেনু বেগম, খোদেজা বেগম, আছমা বেগম প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্বারকলিপি প্রদান
করা হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা বলেন চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা,
প্রকল্পের টাকা আত্মসাত,ভিজিডি,ভিজিএফ ও ট্যাক্সের টাকা
আত্মসাত করে আসছেন। পরিষদের গরিষ্ঠ সদস্যগন চেয়ারম্যানের
দুর্নীতির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করলেও কোন প্রতিকার পাওয়া
যায়নি। অনেক অভিযোগ তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলেও অজানা কারনে চেয়ারম্যান ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছেন। যারফলে চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস দুর্নীতির মহোৎসবে
বেপরোয়া হয়ে উঠেন। এলাকাবাসী ও স্বারকলিপি সুত্রে
জানাগেছে,‘ভিজিডি কার্ডের জমাকৃত প্রায় ৫ লাখ টাকা
চেয়ারম্যান ব্যাংকে জমা না দিয়ে তিনি ব্যাক্তিগতভাবে একক ইচ্ছায়
আত্মসাত করার অভিপ্রায়ে নিজের কাছেই টাকা রেখে দিয়েছেন। জানা গেছে করোনা দুর্যোগ ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের জন্য
সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত প্রায় দুই শত নামের অনুদান সঠিকভাবে বন্ঠন না করে আত্মসাত করেন। চেয়ারম্যান পৌরসদরের নিজ বাসায় বসে অফিস করেন যার ফলে
সাধারণ মানুষ সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জন্ম নিবন্ধন,উত্তারাধিকারী সনদ দেয়ার ক্ষেত্রে জনপ্রতি ৫শ/ এক হ্জার টাকা নিয়ে থাকেন, ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছর ইইতে অদ্যবধি পর্যন্ত পরিষদেও ট্যাক্স,জন্ম, নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্সম, হোল্ডিং কর ইত্যাদি হতে আদায়কৃত
অর্থ সরকারী কোষাগারে জমা না দিয়ে চেয়ারম্যান আত্মসাত করেছেন,
ইউনিয়ন পরিষদ ইইতে ওয়ার্ড সদস্যগনের প্রাপ্য সম্মানী ভাতা না
দিয়ে এবং ওয়ার্ড সভার টাকাও সদস্যদের না দিয়ে চেয়ারম্যান নিজে
আত্মসাত করেন।২০১৬-২০১৭ অর্থ বছর হইতে অদ্যাবধি পর্যন্ত বিভিন্ন
কাবিখা ও কর্মসংস্থান কর্মসুচির বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের উদ্যেশ্যে একজন সদস্য দ্বারা বারবার প্রকল্প কাজ করাচ্ছেন। বিগত ২০১৭ সালের পহেলা জুলাই ভিজিএফ এর ৩০ বস্তা চাউল আত্মসাত করেন, যাহা তদারকি কর্মকর্তার তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস টেলিফোন বাজারের রাস্তা উন্নয়নের জন্য ইপিজিপি
প্রকল্প দিয়ে কাজ করানোর পরও একই জায়গায় আত্মসাতের উদ্যেশ্যে
এলজিএসপির ৪ লাখ ১১ হাজার টাকার আরেকটি প্রকল্প হাতে নেন।
মানববন্ধনে চেয়ারম্যান আবদুর কুদ্দুসের বিভিন্ন অনিয়ম,দুর্নীতি, ও
অর্থসাতের বিরুদ্ধে তদন্তপৃর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানানএলাকাবাসি।
Leave a Reply