সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনা বাজার ইউনিয়নের জামলাবাজ কালীমন্দিরের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের শুনানি ৯ সেপ্টেম্বর। কালী মন্দিরের অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থ উদ্ধারের জন্য গ্রামের পক্ষে বাদল চন্দ্র তালুকদার গং গত ২৮ আগষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করেন কালী মন্দিরের নামে রেকর্ডীয় ডোবার ইজারাকৃত অংশের টাকা পাশ্ববর্তী নূরপুর গ্রামের মৃত সুবাদার মিয়া পুত্র মো: জুনায়েদ মিয়া কাজী গংরা আত্মসাত করার পায়তারা করছে। জানা যায় কালাগুরা নামক ডোবাটি নূরপুর জামে মসজিদের ১৪ আনা ও জামলাবাজ কালী মন্দিরের ২ আনা নামে রেকর্ডীয় অংশ রয়েছে। সেই সুবাদে পূর্বপুরুষ থেকে প্রতিবছর ডোবার ইজারাকৃত অর্থ কালীমন্দিরের ২ আনা অংশের টাকা জামলাবাজ কালী মন্দিরের কমিটির কাছে হস্তান্তর হয়ে আসছে। চলতি বছরে উক্ত ডোবা ইজারার প্রাপ্য অংশের ( ২ আনা) ১,৮৫,৭৫০/- মন্দির কমিটির দাবিদার। চলতি বছরের ডোবা ইজারার সমুদয় অর্থ নুরপুর গ্রামের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ ক্যাশিয়ার বর্তমান ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল হক পাঠান এর কাছে ইজারার অর্থ প্রদান করা হয়। গত ২৪ জুলাই নুরপুর গ্রামের জামে মসজিদে নামাজ শেষে মসজিদ প্রাঙ্গনে জামলাবাজ কালী মন্দিরের অংশের ১,৮৫,৭৫০/- টাকা উভয় গ্রামের গ্রহনযোগ্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে সমজিয়া দেওয়ার জন্য নুরপুর গ্রামের জুনায়েদ মিয়ার কাজীর কাছে দেওয়ার জন্য এনামুল হক পাঠান কে নির্দেশ দেন । কিন্তু ১মাস পেরিয়ে গেলেও কালীমন্দিরের অংশের টাকা মন্দির কমিটির হাতে না পৌছাঁয় জামলাবাজ গ্রামবাসীর পক্ষে অভিযোগ দায়ের করেন। এই অর্থ উদ্ধারের জন্য নুরপুর গ্রামে প্রবীন মুরব্বি আব্দুর বশির সিকদারের সভাপতিত্বে নুরপুর গ্রামে ও কালী মন্দিরে ৩টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জুনায়েদ মিয়া টাকা প্রাপ্তীর স্বাীকার করলেও মন্দির কমিটির কাছে কেন পৌছে নাই বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং পেশীশক্তি ব্যবহার করে বৈঠক পন্ড করে দেন। প্রত্যেক বৈঠকে ইউপি সদস্য এনামুল হক পাঠান, মো: উমর আলী চৌধুরী,আরজু মিয়া পাঠান, তহুর মিয়া চৌধুরী,সায়েম পাঠান, মো: ইসলামনুর, দিলোয়ার সিকদার, সামছুল আলম মাস্টার, রিজোয়ান আলম, কৃষ্ণকান্ত তালুকদার,জ্যোতির্ময় দাস, অমল তালুকদার সহ উভয় গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিগন উপস্থিত ছিলেন। জুনায়েদ মিয়া হিন্দুদের ভয় দেখিয়ে বিষয়টিকে অন্যদিকে চালানোর চেষ্টা করে দুইভাগে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। এছাড়াও আরো কয়েকটি সালিশি বৈঠকের মধ্যে জুনায়েদ মিয়া কালীমন্দিরের টাকা আত্মসাতের দোষী সাব্যস্থ হলেও মন্দির কমিটির হাতে অর্থ দিতে নারাজ পোষণ করছে। এ বিষয় নিয়ে নুরপুর গ্রামের ক্যাশিয়ার এনামুল হক পাঠান বলেন – আমি গ্রামের নির্দেশে জামলাবাজ কালী মন্দিরের অংশের টাকা জুনায়েদ মিয়ার কাছে তুলে দিয়েছি। কথা রয়েছে উভয়গ্রামের মুরব্বিগনের সামনে কালী মন্দিরের কমিটির লোকের কাছে জুনায়েদ মিয়া হস্তান্তর করিবে। মন্দির কমিটি এখনো টাকা পায়নাই বলেই অভিযোগ করেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিৎ দেব বলেন- আমি মন্দিরের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পেয়েছি । উভয়পক্ষকে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে শুনানীর দিন ধার্য করা হয়েছে, ঐদিনই গৃহিত ব্যবস্থা হবে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জুনায়েদ মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,টাকাগুলো নাকি ঝুনু নামে একজনের নিকট দিয়েছে। পরে তিনি নিউজটা না করার জন্য অনুরোধ করেন এবং দেখা করবেন বলেই ফোনের লাইনটি কেটে দেন।
Leave a Reply