দেশবাংলা ডেস্ক:: শ্বশুরবাড়ির ৯ম তলার বারান্দা থেকে লাফিয়ে পড়ে সাবেক এমপির ব্যারিস্টার ছেলে আসিফ ইমতিয়াজ খান জিসাদের মৃত্যুর খবরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের একজন ব্যারিস্টার কেনই বা উচু ভবন থেকে লাফ দেবেন তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এরইমধ্যে ব্যারিস্টার আসিফের মৃত্যু নিয়ে তার বাবা, স্ত্রী ও শ্যালক গণমাধ্যমে ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন।
মৃত আসিফের স্ত্রীর সাবরিনা শাহিদ নিশিতা বলেন, ব্যারিস্টার আসিফ নিয়মিত অ্যালকোহল গ্রহণ করতেন। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। রাতে আসিফ বারান্দায় বসা ছিলেন। শেষ রাতে ৯তলা থেকে তিনি লাফিয়ে পড়েন।
আসিফের শ্যালক সাইমন শাহিদ নিশাদ বলেন, চার বছর আগে বড় বোন সাবরিনা শাহিদ নিশিতাকে প্রেম করে বিয়ে করেন আসিফ। কিন্তু তাদের সম্পর্কের বিয়েকে মেনে নেয়নি বোন জামাইয়ের পরিবার। তাই আমাদের বাড়িতেই থাকতেন তিনি। বোন-বোন জামাইয়ের সংসারে এখনো কোনো সন্তান জন্মগ্রহণ করেনি।
মাঝে মধ্যে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে বোন ও বোন জামাই ঝগড়া করতেন। এক পর্যায়ে দুলাভাই নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়লে তাকে উত্তরার রিহ্যাব সেন্টারে চার মাস চিকিৎসা দেয়া হয়। এদিকে বোন জামাইয়ের পরিবার মিরপুরে থাকেন।
নিশাদ আরো বলেন, গত রাতে বোন ও বোন জামাইয়ের মধ্যে ঝগড়া বাধে। এক পর্যায়ে বোন জামাই আসিফ ৯তলার বারান্দার রেলিংয়ের ওপর দিয়ে লাফিয়ে নিচে পড়েন। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিলে ভোর সাড়ে ৫টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ব্যারিস্টার আসিফের বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, আসিফ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। সে মতিঝিলে দেশ ট্রেডিং কর্পোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার ছিল। ভোরে আসিফের অবস্থা ভালো না বলে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনই আমাকে খবর দেয়। আমি হাসপাতালে গিয়ে আসিফকে মৃত দেখতে পাই। আসিফকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে সন্দেহ করছি। সে আত্মহত্যা করতে পারে না। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, আসিফের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
রাজধানীর কাঁঠালবাগান ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের ১৬৩ নম্বর বাসার ৯তলার বারান্দা থেকে ‘লাফিয়ে পড়ে ব্যারিস্টার আসিফের মৃত্যু হয়। আসিফ সিরাজগঞ্জ কামারখন্দ বাগবাড়ী এলাকার অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম খানের ছেলে। শহিদুল ইসলাম ১৯৮৬-৯০ মেয়াদে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি কামারখন্দ) আসনের এমপি ছিলেন। আসিফ ব্যারিস্টারি পাস করে সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করছিলেন।
Leave a Reply