জকিগঞ্জ প্রতিনিধি ::.
জকিগঞ্জে কথা না শুনায় বাড়ী থেকে তুলে এনে এক শিশু শ্রমিককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে চুর সাজিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আলোচিত মেম্বার নাজিম উদ্দিন ও তার সহযোগী আপন চাচাতো ভাই প্রবাস ফেরত মামুন রশিদের বিরুদ্ধে
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে শিশু শ্রমিক রাসেল আহমদ দাবি করেন তিনি একটি পিকআপ গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন ও ৯নং মানিকপুর ইউনিয়নের ৪ ওয়ার্ডের দরগাবাহারপুর গ্রামে তার নানার বাড়িতে বসবাস করেন
গত ১০ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১০.৩০ ঘটিকার সময় সে প্রতিদিনের মত সারাদিন গাড়ি চালিয়ে নানার বাড়ির এলাকার খলুমিয়ার বাড়িতে গাড়িটি রাখার জন্য রওয়ানা হয়।হাড়িকান্দি গেইটে যাওয়ার পর নাজিম উদ্দিন কয়েকজন সহযোগীসহ গাড়িটি সিগনাল দিলে সে গাড়ি থামায় এরপর তাকে কোথায় যাওয়ার জন্য বললে সে গাড়িতে গ্যাস নাই বলার সাথে সাথে নাজিম উদ্দিন উত্তেজিত হয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করলে সে ভয় পেয়ে দ্রুত গাড়িটি চালিয়ে তার গ্রামের বাড়ি সড়কের বাজারের ডেমারগ্রামে চলে যায়।এতে আরো রাগান্বিত হয়ে নাজিম মেম্বারের নির্দেশে মামুন রশিদের নেতৃত্বে ৪ টি হোন্ডা ও ২টি সিএনজি ও ২ টি ১০ সিটা গাড়ি তার পেছনে দাওয়া দিতে থাকলে সে দ্রুতগতিতে বাড়ি চলে যায়
এরপর নাজিম মেম্বারের অন্যতম সহযোগী মামুন রশিদ তাপাদার শিশুটির ঘরে গিয়ে অনাধিকার প্রবেশ করে জোরপূর্বক সিএনজি গাড়িতে তুলে এনে নাজিম উদ্দিন মেম্বারের কাছে দেন নাজিম উদ্দিন হাড়িকান্দি গেইটের পাশের একটি দোকানে নিয়ে সার্টার লাগিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন ও তার পেটে ও বুকে পা দিয়ে চাপ দিয়ে অন্ডকোষে হাত দিয়ে হত্যা চেষ্টা চালান এরপর শিশুটি কান্নাকাটি করলে তাকে নিয়ে রতনগঞ্জ বাজারের দিগে যেতে থাকেন।
তখন মামুন রশিদ তাপাদার টেলিফোনে নাজিম উদ্দিন কে বলেন কার ওর্ডারে তাকে নিয়ে যাচ্ছ তাকে নিয়ে ফেরে এসো এরপর নাজিম উদ্দিন তাকে নিয়ে আসেন মামুন রশিদের একটি উচু দেয়াল সম্পূর্ণ একটি গরুর খামারে সেখানে তাকে ভিতরে নিয়ে তালা লাঙ্গিয়ে দেন।
এরপর শুরু হয় মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্মম নির্যাতন শিশু শ্রমিকের হাত পা চোঁখ বেঁধে ফেলেন নাজিম উদ্দিন,মামুন রশিদ ও তাদের সহযোগীরা
শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন!হাত ও পায়ের গোড়ালিতে ছুই দিয়ে চাপসহ শারিরিক নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে,উলঙ্গ করে ভিডিও ধারণ করারও অভিযোগ করেছে শিশুটি
এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালালে বাহিরে মানুষের আনাগোনা বুঝে বিপদে পড়তে পারেন এমন আঁচ করে নাজিম ও মামুন কুপরামর্শ করে চুর সাজিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন
পুলিশ শিশুটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে একজন গাড়িচালক বলে জানায় এরপর কোন অপরাধ না পেয়ে তাকে অভিভাবক গেলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশের কাছে সে তার মোবাইল মানিব্যাগ ও চাবি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করলে নাজিম উদ্দিন তার কিছু জিনিস দিলেও বহু হাতে গেছে অজুহাতে গাড়ির ইনকাম দুইহাজার টাকা ফেরত দেননি বলে জানায় শিশুটি
এরপর থানা থেকে বেরিয়ে এসে শিশু জানতে পারে এরে ধনেজনে বলিয়ান তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে কোন প্রতিকার নাও পেতে পারেন এজন্য সে ভয়ে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়
এরপর তার আত্মীয় স্বজনের পরামর্শে এই অমানবিক নির্যাতনের কথা গণ্যমান্য মানুষের কাছে জানিয়ে ও পরামর্শ করে সাংবাদিকের দ্বারস্থ হয়ে তার উপর অমানুষিক টর্চার এর কথা জানিয়ে
জকিগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বলে জানা যায়
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জকিগঞ্জ থানা পুলিশের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply