হিফজুর রহমান তালুকদার জিয়া ::
জগন্নাথপুর সদর বাজার সহ উপজেলার প্রতিটি বাজারে আলু সহ সব ধরনের সবজির দাম বৃদ্ধিতে ক্রেতারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এক সপ্তাহ পূর্বে আলুর দাম ৩৩ থেকে ৩৫ টাকায় ক্রয় করা গেলেও বর্তমানে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। আলুর পাশাপাশি সব ধরনের সবজির দাম আকাশচুম্পি। সাধারন ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে রয়েছে সবজি। আলুর বাজারে অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন পর্যায়ে মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। সরকারের এ নির্দেশনা মানছেনা জগন্নাথপুর সদর বাজার সহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারের ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন অজুহাতে ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছেমত দামে আলু বিক্রয় করছে। নির্ধারিত মূল্য হিসেবে প্রতিকেজি আলুর দাম হিমাগারে ২৩ টাকা, পাইকারিতে ২৫ টাকা এবং খুচরা বাজারে ৩০ টাকা দরে বিক্রি নিশ্চিত করতে সারা দেশের জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।একই চিঠিতে আলুর বাজার কঠোর মরিটরিং ও নজরদারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসকদের। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে একজন চাষির প্রতিকেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে ৮ টাকা ৩২ পয়সা। আর আলুর মৌসুমে যখন হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে তখন প্রতিকেজির আলুর সর্বোচ্চ দাম ছিল ১৪ টাকা। প্রতিকেজি আলু হিমাগার ভাড়া বাবদ ৩ দশমিক ৩৬ টাকা, বাছাই খরচ ০. ৪৬ টাকা ও ওয়েট লস ০.৮৮ টাকা, মূলধন সুদ ও অনান্য খরচ বাবদ ব্যয় হয় ২টাকা। অর্থাৎ উৎপাদন থেকে শুরু করে অন্য খরচ ধরে এক কেজি আলু হিমাগার পর্যন্ত সংরক্ষণে সর্বমোট ব্যয় হয়েছে ২১ টাকা।সেই হিসেবে হিমাগারের আলু দাম ২৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে আড়তদারি, খাজনা ও লেবার খরচ বাবদ ৭৬ পয়সা খরচ হয়। সেক্ষেত্রে পাইকারি পর্যায়ে দাম পড়ে ২৩ দশমিক ৭৬ টাকা। এর সঙ্গে মুনাফা ধরে পাইকারী ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ভোক্তা পর্যায়ে সেটা ৩০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সংস্থাটি। কিন্তু খুচরা পর্যায়ে বর্তমানে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। যা অযৌক্তিক। কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত জানান, সরকারী নির্ধারিত ৩০টাকার উপরে আলু বিক্রয় করলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। শীঘ্রই বাজার মনিটরিং করা হবে।
Leave a Reply