সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মেরুয়াখলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভূয়া জমিরদাতা সেজে মোঃ কামরুজ্জামান স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হয়ে এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম মিলে ফান্ডের টাকাসহ প্রতিষ্ঠানের পুরাতন মালামাল বিক্রি করে প্রায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাধ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে রড গাছ বিক্রিসহ প্রতিবছরের প্রায় ৫ লাখ টাকার কোন হিসাব বিদ্যালয়ের খাতায় উল্লেখ নেই বলে জানা যায়।
গত ২০ অক্টোবর মেরুয়াখলা গ্রামবাসীর পক্ষে আছমত আলী ছেলে মো. হাবিজুল ইসলাম বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সমীর বিশ^াস বরাবরে এই লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,মেরুয়াখলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক প্রায় দশবছর ধরে ভূয়া জমিরদাতা বানিয়ে মেরুয়াখলা গ্রামের কামরুজ্জামানকে অবৈধভাবে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি করা হয়। তিনি সভাপতি নিযুক্ত হবার পর থেকে প্রধান শিক্ষককে নিয়ে গত দশবছর ধরে প্রতিবছর সরকারের বরাদবদকৃত স্কুল ফান্ডের টাকা আত্মসাধসহ স্কুলের পুরাতন মালামালসহ,স্কুলের গাছ,পুরাতন বই, দরজা জানাল,পরিত্যক্ত রড,ইট,পাথর ও কাঠ বিক্রি করে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় ১৫ লাখ টাকা বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও অভিভাবকরা সরকার থেকে প্রতিবছর আসা অনুদান,রড গাছ বিক্রিসহ অনিয়ম ও র্দূনীতির বিষয়ে হিসাব চাওয়াতে তাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকী দেয়া হচ্ছে। একটি প্রতিষ্ঠানে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের এমন অনিময় ও র্দূনীতির বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দ্রæত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের উধর্বতন কতৃপক্ষের নিকট দাবী জানানো হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলালেম মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ থাকায় তার মন্থব্যে জানা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে মেরুয়াখলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. কামরুজ্জামান অনিয়ম র্দূনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার বিষয় জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। তিনি পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানের গাছ কেটে বিক্রির বিষয়টি বলতেই ফোনের লাইন কেটে দেন।
এ ব্যাপারে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সমীর বিশ্বাসের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply