শাল্লা প্রতিনিধি-
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারি নিশিকান্ত তালুকদারের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের দুই ফেব্রুয়ারী ওই হাসপাতালের ১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী তার অনিয়ম দুর্নীতি ও অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ করেন। সেইসাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রী, মহাপরিচালক নার্সিং, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক, সুনামগঞ্জ সিলিভ সার্জন ও সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপারকেও অনুলিপি দেওয়া হয়।
কিন্তু অভিযোগের দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও তার কোন তদন্ত না হওয়ায় অনিয়ম ঘুষ-দুর্নীতিতে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নিশিকান্ত তালুকদার। আর এতে অনেকটা হতাশ হয়ে ভয়ে আছেন অভিযোগকারীরা। অভিযোগ করে এখন আরো বিপদে পড়েছেন তারা। উক্ত নিশিকান্ত তালুকদার তাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে।
অভিযোগ করার সময়ে দায়িত্বে থাকা তৎকালীন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হেলাল উদ্দিন বলেন, তাদের অভিযোগ যে সম্পূর্ণ মিথ্যা তা আমি বলবো না। দায়েরকৃত অভিযোগের আলোকে তৎকালীন সিভিল সার্জন, সুনামগঞ্জ মহোদয়ের উপস্থিতিতে তদন্ত করা হয়েছে। সিভিল সার্জন স্যারও নিশিকান্তকে শুধরানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয় হাসপাতালের প্রধান সহকারী নিশিকান্ত তালুকদারের খারাপ আচরণ, মাসিক বেতন থেকে অর্থ কেটে নেওয়া, টাকার বিনিময়ে ছুটি, ভূয়া ভাউচার এবং অতীতে যারা চাকুরী করত তারা নিশিকান্তকে মাসিক চাঁদা দিত, বর্তামানে মাসিক চাঁদা দেই।
অভিযোগে আরো উল্লেখ্য করা হয় নিশিকান্ত স্থানীয় হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। কারো বদলী হলে নিশিকান্তকে ২৫-৩০ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়পত্র নিতে হত।
সামান্য বেতননের চাকুরী করে নিশিকান্ত অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন এবং সিলেটে বাসা করে ছেলে মেয়েদের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করাচ্ছেন কিভাবে ? তার ব্যাংক হিসাবও খতিয়ে দেখতে অভিযোগে উল্লেখ হয়।
অভিযোগকারী অনেকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, এখন বলে আর কি করবো ভাই। যা হবার তো হয়েই গেছে। আপনারা অভিযোগ লিখিত ভাবে প্রত্যাহার করেছেন কি না জানতে চাইলে তারা বলেন, অনেকটা বিপদগ্রস্থ হয়েই অভিযোগ প্রত্যাহার করেছি।
এবিষয়ে শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ফেরদৌস আক্তার এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি দু’মাস হয় এখানে যোগদান করেছি। তবে যে অভিযোগের কথা বলছেন আমার জানা মতে তার একটি তদন্ত হয়েছিল। কিন্তু তদন্তে কি হয়েছিল তা আমার জানা নেই।
সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ সামসুদ্দিন বলেন, আমি আসছি ২০ সালে। ২০১৯ সালের কোনো তদন্ত এখনো আমার কাছে আসেনি। এমনকি কোনো তদন্ত প্রতিবেদনও আমি পাইনি। তবে আমি অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।
Leave a Reply