সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলায় ছেলের দোকানে থাকা সুপারি কাটার যন্ত্র (স্থানীয় ভাষায় লোহার যাতি/সরতা) দিয়ে কুপিয়ে নিজ বাবাকে খুন করেছে ছেলে। এ ঘটনায় ঘাতক ছেলে নাজমুল হাসান(২০) কে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার সময় উপজেলার বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাট বাজারের হাজী রজব আলী মার্কেটে। নিহত পিতার নাম ইসলাম উদ্দিন (৪৮) ওরোপে পাগলা ইসলাম উদ্দিন, সে উপজেলার ৫ নং বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের মৃত ফালু মিয়ার ছেলে। সে বাদাঘাট বাজারের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তাহিরপুর থানা পুলিশ ও পত্যক্ষদীর্শ সূত্রে জানাগেছে, পিতা ইসলাম উদ্দিন রাত সাড়ে ১১ টার সময় বাদাঘাট বাজারের হাজী রজব আলী মার্কেটে ছেলে নাজমুলের কসমেটিক্স এর দোকানের সামনে গেলে টাকা নিয়ে এসময় পিতা-পুত্রের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছেলে নাজমুল পিতার পাগলামি আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানে থাকা সুপারি কাটার লোহার সরতা নিয়ে বাবার মাথায় একের পর এক আঘাত করতে থাকে। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় গুরতর আহত হয়ে পিতা ইসলাম উদ্দিন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ দৃশ্য স্থানীয় প্রতিবেশী দোকানদার ও রাতে বাজার পাহারাদার দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করলে ঘাতক নাজমুল পালিয়ে যায়। পরে তারা গুরুতর আহত ইসলাম উদ্দিনকে উদ্ধার করে বাদাঘাট বাজারের স্থানীয় চিকিৎসক হাফিজ উদ্দিনের চেম্বারে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ তরফদার ও বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ মাহমুদুল হাসান সাড়ে ১২ টায় ঘটনার স্থল পরিদর্শন করে। এবং বাদাঘাট বাজারের স্থানীয় চিকিৎসক হাফিজ উদ্দিনের চেম্বার থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে পালিয়ে থাকা ঘাতক নাজমুলকে ঘাগটিয়া গ্রামের একটি মসজিদ থেকে তাকে গ্রেফতার করে। আজ রবিবার সকালে লাশ ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন তাহিরপুর থানার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ তরফদার এবং বলেন রাতেই অভিযান চালিয়ে পিতার ঘাতক নাজমুলকে আটক করা হয়েছে। সকালে নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে তাহিরপুর থানায় একটি হত্যা
মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Leave a Reply