সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের সড়ক নির্মাণ কাজের ২ লাখ টাকা লুট করেন ইউনিয়নের ৮নং ইউপি সদস্য ইয়াহিয়া আহমদ সুমন। টাকা আত্মসাধের ঘটনা তদন্তে প্রমানিত হওয়ায় ক্ষুব্দ হয়ে অভিযোগকারীসহ ৮ জনের উপর হামলা চালিয়ে আহত করেন এই র্দূনীতিবাজ ইউপিসদস্য। এঘটনায় আমির হোসেন জুনেদ বাদী হয়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। গত ৯ডিসেম্বর আসামী ইয়াহিয়া আহমদ সুমন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ আদালত জোনে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদলতের বিচারক ম খালেদ মিয়া তার জামিন না মঞ্জুর করে বরখাস্থকৃত এই ই্উপি সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছেন । জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে আলমপুর মছদ্দরের বাড়ি হতে ভুলনের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার মাটি ভরাট প্রকল্পে কাজ না করে সরকারের বরাদ্দ দুই লাখ টাকা আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সভাপতি ও ইউপি সদস্য এহিয়া আহমদ সুমনের বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই লিখিত অভিযোগ দেন আলমপুর গ্রামের মৃত সুজনুল ইসলামের ছেলে আমির হোসেন জুনেদ। ২৫ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগ তদন্তের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব প্রদান করেন। যা সরেজমনি তদন্ত কালে তা প্রমাণিত হয় এবং তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কর্তৃক বহিস্কৃত হন। অভিযোগকারী জুনেদ বলেন, কাজ না করে টাকা লুটের ঘটনায় সু¯পষ্ট মতামত প্রদানের জন্য আমাকে শুনানিতে ডাকা হয় । শুনানি গ্রহণের প্রস্তুতির প্রাক্কালে প্রভাবশালী বিবাদী দ্বারা আমার আত্মীয় স্বজনসহ ৮ জন হামলার শিকার হই । এ ঘটনায় মামলা দায়ের করলে আদালত ইউপি সদস্যকে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
Leave a Reply